‘অশ্লীল’ ছবির পর চুম্বন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন জিনাত
Published: 19th, June 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমান। ১৯৭০ সালে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। ১৯৭৮ সালে তার অভিনীত ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে রূপা চরিত্রে অভিনয় করেন জিনাত। সিনেমাটিতে শশী কাপুরের সঙ্গে তার চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। পর্দায় জিনাতের এটিই প্রথম চুম্বন দৃশ্য ছিল।
‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমায় জিনাত-শশীর চুম্বন দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। ভিডিওর ক্যাপশনে ৪৮ বছর আগের ঘটনা নিয়ে স্মৃতিচারণও করেছেন জিনাত।
দীর্ঘ লেখার শুরুতে জিনাত আমান বলেন, “ঝলমলে চোখ আর সুদর্শন শশী কাপুর ছিলেন ভারতের স্কুলছাত্রীদের কল্পনার পুরুষ! আমি নিজেও ছিলাম। প্রথমবার যখন তাকে দেখি, তখন আমি বোর্ডিং স্কুলে পড়ি। শেক্সপিয়রের নাটক পরিবেশনের জন্য শেক্সপিয়ারিয়ানা থিয়েটার কোম্পানির সদস্যদের (তার ভবিষ্যৎ স্ত্রী জেনিফারসহ) সঙ্গে পাঁচগনিতে এসেছিলেন তিনি। আর মেয়েদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন।”
আরো পড়ুন:
জনের সঙ্গে ‘দুর্ঘটনামূলক বিয়ে’ নিয়ে মুখ খুললেন জেনেলিয়া
যা খুশি তা পরে তুমি বাইরে যেতে পারো না, মেয়েকে কাজল
জিনাত আমানের স্কুল জীবনের ক্রাশ ছিলেন শশী কাপুর। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার ভাগ্য ভালো ছিল, শশী দক্ষিণ বম্বের বাসিন্দা ছিলেন। আমার বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে থাকতেন না তিনি। প্রতিবেশীরা বলাবলি করতেন, ‘দ্য’ শশী কাপুরের প্রতিদিনের অভ্যাস ছিল— সন্ধ্যা ৬টায় ঘুরে বেড়ানো। আমার বান্ধবীরা ও আমি তখন তরুণ। আমরা আমাদের বাবা-মাকে বুঝিয়েছিলাম, সুস্বাস্থ্যের জন্য সূর্যাস্তে হাঁটা জরুরি এবং নির্মল বাতাস প্রয়োজন। অথচ, আমাদের লক্ষ্যই ছিল শর্টস পরা চলচ্চিত্র তারকাকে একঝলক দেখা।”
স্বপ্নের মানুষ শশী কাপুরের সঙ্গে অভিনয়ের কথা জানিয়ে জিনাত আমান বলেন, “আমার ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় পর সাহসী, বুদ্ধিমান এবং মনোমুগ্ধকর পুরুষটির (শশী কাপুর) সান্নিধ্যে পাই। দ্রুত হাসতেন এবং কৌতুক করতেন। ‘রোটি’, ‘কাপড়া আউর মাকান’, ‘চোরি মেরা কাম’, ‘ওয়াকিল বাবু’সহ বেশ কিছু স্মরণীয় সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছি।”
প্রায় ৫০ বছর পর চুম্বন দৃশ্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জিনাত আমান। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমার এই ভিডিও ক্লিপটি দুটি কারণে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। প্রথমত: এটি আমার ক্যারিয়ারের বড় একটি মুহূর্ত ছিল। এটি ছিল আমার প্রথম অন-স্ক্রিন চুম্বন। যদিও এটি সেই সময়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আসলে এটি পবিত্র চুম্বন ছিল। শুটিং করার সময় আমার সত্যিই এক মুহূর্তও অস্বস্তি হয়নি। দ্বিতীয়ত: এই পোস্টের সাহসিকতা দেখে স্কুলছাত্রী জিনাত রোমাঞ্চিত হবে।”
‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমার শুটিংয়ের আগে জিনাতের বেশ কিছু ছবির বিরুদ্ধে ‘অশ্লীলতার’ অভিযোগ উঠেছিল। শুধু অভিযোগ নয়, তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সত্তর দশকের সাহসী এই অভিনেত্রী। যে ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সেই ‘অশ্লীল’ ছবি দুই বছর আগে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন জিনাত। ছবিটি শেয়ার করে বিতর্কিত ঘটনার পেছনের গল্প বলেছিলেন। পাশাপাশি নিজের মতামতও ব্যক্ত করেন।
লেখার শুরুতে জিনাত আমান বলেন— “সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমার লুক টেস্টের জন্য এই ছবি তুলেছিলেন জে.
এ ছবি প্রকাশ্যে আসার পর অশ্লীলতার অভিযোগে বিতর্কের মুখে পড়েন জিনাত আমান। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যারা বলিউডের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞাত, তারা জানেন যে, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ সিনেমায় আমার রূপা চরিত্র নিয়ে দারুণ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ ছবির বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমি খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ আমি মানুষের শরীরে কোনো অশ্লীলতা খুঁজে পাই না।”
জিনাত আমানের এই ছবি তখন দারুণভাবে নজর কেড়েছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “পরিচালক রাজ কাপুর সিনেমাটির জন্য আমাকে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু আমার ওয়েস্টার্ন ইমেজ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না এই লুকে দর্শক আমাকে গ্রহণ করবেন কিনা। এ কারণে লুক টেস্টের জন্য এই ফটোশুট করান। এই লুক টেস্টের উপর নির্ভর করে আমরা লতা জির (লতা মঙ্গেশকর) বিখ্যাত গানের শুট করি। আর কে স্টুডিওতে রাজ কাপুর এর প্রদর্শনী করেন; যাতে পরিবেশকরা আমার লুক দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। প্রথম প্রদর্শনীর পর খুব দ্রুত সিনেমাটির সমস্ত স্বত্ব বিক্রি হয়ে যায়।”
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র চ ম বন দ শ য জ ন ত আম ন র জন য কর ছ ল ব তর ক
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা অনলাইন বেটিংয়ে জড়িত, তাদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সভায় ফয়েজ আহমদ বলেন, দেশকে অনলাইন জুয়া থেকে মুক্ত করতে হলে জুয়ার চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করা, ট্রাফিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লিংকের গতি ধীর করা এবং যে নম্বর বা এমএফএস (মোবাইলে আর্থিক সেবা) অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যাচাইয়ের পর এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে। তবে ন্যায্যতা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিম ও এমএফএসের ইকেওয়াইসি (গ্রাহকের পরিচয় যাচাই) সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন
কমিশনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধে বিটিআরসি থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মেইল দেওয়া শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো কীভাবে তাদের ওয়েব ব্রাউজার ও এডসেন্স সেটআপ করবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ভেটিং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভেটিং শেষে তা সংশ্লিষ্ট সব গণমাধ্যমকে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত গাইডলাইনও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটা অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হবে।
সভায় তিনি আরও জানান, অনলাইন জুয়ায় জড়িত প্রায় ৫ হাজার এমএফএস হিসাব ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। সরকার এখন একটি কমন ডেটাবেজ (তথ্যভান্ডার) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম ও অপারেটরদের সমন্বয়ে তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে।
সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর সিম সংখ্যা ১০টিতে সীমিত করলে জুয়া প্রতিরোধে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে যারা জুয়া খেলছে, তাদের শনাক্ত করাও জরুরি।
সভায় অনলাইন স্ক্যাম ও জুয়া প্রতিরোধে মাদক অধিদপ্তরের মতো একটি বিশেষ সংস্থা গঠন এবং ক্রস-ডোমেইন মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে সার্ভিস, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।