জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বুধবার
Published: 4th, November 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জকসু) তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জকসু) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তফা হাসান বলেন, বুধবারই জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের তারিখ জানা যাবে। এদিন নির্বাচনী আচরণবিধিও চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
গত ২৯ অক্টোবর জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান মোস্তফা হাসান। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্ব পেয়েছেন চারজন শিক্ষক। তাঁরা হলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো.
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে ২৭ অক্টোবর জকসুর সংবিধি চূড়ান্ত হয়। জকসুর উদ্দেশ্য হিসেবে সংবিধিতে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ জাতীয় আন্দোলনের চেতনা ধারণ, প্রচার, সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও মুক্তচিন্তার প্রসারের কথা বলা হয়েছে।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জকসু নির্বাচন চায় জাতীয় ছাত্রশক্তিজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে সংগঠনটির নেতারা এ স্মারকলিপি জমা দেন।
জাতীয় ছাত্রশক্তির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জকসু নির্বাচনকে আমরা টেনেহিঁচড়ে কোনোভাবেই ডিসেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহ নিতে দিতে চাই না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জকসুকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে ছাত্রদল। জকসু বানচাল হয়—এমন কোনো কাজ কেউ করতে চাইলে, আমরা তা কোনোভাবেই হতে দেব না। আমরা আজকেও প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের দাবি ও অবস্থান স্পষ্ট করেছি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস সিইসির
গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
রবিবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।
বৈঠকের পর ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) চেয়ারম্যান রেজায়োনুল হক রাজা বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি (নীতিমালা) তৈরি করেছে, তাতে আমাদের সাংবাদিকদের কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। আমরা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার ও রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি যৌথভাবে একাধিক সেমিনার করেছি, যেখানে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, অংশীজন ও সংবাদকর্মীদের মতামত নিয়ে আমরা একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছি। ওই সুপারিশমালা নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
রেজায়োনুল হক বলেন, ‘‘আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছি যে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করার যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে, সেটি সাংবাদিকদের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা। আমাদের যদি আইডি কার্ড ইস্যু করা থাকে, তাহলে আলাদা করে অনুমতি চাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট থাকার সীমা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছি।’’
বিজেসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি কোনো কঠোর সময়সীমা নয়, বরং কেন্দ্রের জায়গার সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় একটি সাধারণ নির্দেশনা মাত্র। আমরা বুঝেছি, সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এই ধারা নয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশ্বস্ত যে কমিশন আন্তরিকভাবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করতে চায়। এমনকি কমিশন নিজেও মনে করে, সিসি ক্যামেরা না থাকলেও সাংবাদিকদের ক্যামেরা থাকলে সেটি ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’’
সরাসরি সম্প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের উচিত দায়িত্বশীল থাকা, যেন সম্প্রচারে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে যদি কোনো অনিয়ম বা কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসব পরিস্থিতিতে কঠোর নীতিমালা কার্যকর রাখা সম্ভব নয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন দ্রুত আমাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে আচরণবিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবে। এতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সহজ হবে এবং জনগণের জানার অধিকারও আরও সুরক্ষিত হবে।’’
আরএফইডি সভাপতি কাজী জেবেল বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ক্যামেরাপারসনের ওপর আক্রমণ বা সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এই নীতিমালায় স্পষ্টভাবে যুক্ত করতে হবে।’’
ঢাকা/রায়হান//