জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জকসু) তফসিল আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (জকসু) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মোস্তফা হাসান বলেন, বুধবারই জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের তারিখ জানা যাবে। এদিন নির্বাচনী আচরণবিধিও চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে।

গত ২৯ অক্টোবর জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান মোস্তফা হাসান। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনারে দায়িত্ব পেয়েছেন চারজন শিক্ষক। তাঁরা হলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো.

শহিদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কানিজ ফাতেমা, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. জুলফিকার মাহমুদ, ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. আনিসুর রহমান ইসলাম।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে ২৭ অক্টোবর জকসুর সংবিধি চূড়ান্ত হয়। জকসুর উদ্দেশ্য হিসেবে সংবিধিতে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ জাতীয় আন্দোলনের চেতনা ধারণ, প্রচার, সাংস্কৃতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও মুক্তচিন্তার প্রসারের কথা বলা হয়েছে।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জকসু নির্বাচন চায় জাতীয় ছাত্রশক্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজনের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে সংগঠনটির নেতারা এ স্মারকলিপি জমা দেন।

জাতীয় ছাত্রশক্তির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জকসু নির্বাচনকে আমরা টেনেহিঁচড়ে কোনোভাবেই ডিসেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহ নিতে দিতে চাই না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জকসুকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে ছাত্রদল। জকসু বানচাল হয়—এমন কোনো কাজ কেউ করতে চাইলে, আমরা তা কোনোভাবেই হতে দেব না। আমরা আজকেও প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের দাবি ও অবস্থান স্পষ্ট করেছি।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুরো নির্বাচনি এলাকার ফল বাতিল করতে পারবে ইসি
  • জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
  • জকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রদলের ১২ দাবি
  • জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
  • জকসুর তফসিল সোমবার