ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ৪৪ উপজেলায় হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি
Published: 19th, June 2025 GMT
দেশের ৪৪টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অধীনে পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব লাইব্রেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কার্যক্রম নিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিজাইন এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে।
আরো পড়ুন:
৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: ফারুকী
২৫৩ জন গুমের প্রমাণ মিলেছে
‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে: কমিশন
রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ মোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ৫৩ লাখ টাকা। ৪৪ লাইব্রেরি স্থাপনের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের অনুকূলে এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “আমি বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে দেখেছি কোথাও কোথাও শিক্ষার হার ৪২ শতাংশেরও নিচে। যেটা আমাদের জাতীয় গড়ের অর্ধেকের কাছাকাছি। এটা থেকে বোঝা যায় সেখানে শিক্ষার কি অবস্থা! তাই আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল যে উপজেলাগুলোতে শিক্ষার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম, সেখানে আমরা পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করবো। এটার জন্য বাজেট বরাদ্দ না থাকায় আমাদের বিশেষ বরাদ্দ থেকে এই উদ্যোগটা নিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমরা মাত্র ২৩ কোটি টাকায় ৪৪টি উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি করছি। প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য ৫৩ লাখ টাকা খুব বেশি কিছু নয়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় যেখানে ডেডিকেটেড পাবলিক লাইব্রেরি নেই, সবগুলো উপজেলা আমরা এটা বাস্তবায়ন করব। ৪৪টা উপজেলা হচ্ছে আমাদের স্টার্টিং। সব এরিয়াতে আমরা এটা বাস্তবায়ন করব।”
উপদেষ্টা বলেন, “তবে আমাদের ফোকাস এরিয়া থাকবে একটা আধুনিক মানসম্মত লাইব্রেরি। যেখানে সবাই আসতে আগ্রহ বোধ করবেন। লাইব্রেরিটা আসলেই কাজে লাগবে। অন্যান্য সরকারি ভবনের মতো পড়ে না থাকে-সেটাই থাকবে আমাদের মূল লক্ষ্য।”
তিনি আরো বলেন, “রাজনৈতিক প্রিভিলেজের কারণে কোনো এলাকায় বেশি উন্নয়ন আর কোনো এলাকায় কম উন্নয়ন যাতে না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এমনটা যাতে আর না হয়। আমরা দেখেছি গোপালগঞ্জের একটি উপজেলায় গেলে দেখা যাচ্ছে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, আর রংপুরের আরেকটি জেলায় কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো.
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল য উপদ ষ ট র জন য আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ মোহনের অধ্যক্ষকে ওএসডি, অভিযোগ—তিনি আওয়ামী লীগের ‘দোসর’
ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় দায়িত্ব হস্তান্তর করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ সাকির হোসেন।
এর আগে ৩১ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) আ. কুদদুসের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে রোববার বিকেলের আগে উপাধ্যক্ষকে অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। আমান উল্লাহকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। তিনি একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করে আসছিলেন।
গতকাল বিকেলে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কমিটি স্থগিত) নেতারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁদের একজন আনোয়ার হোসেন (যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক) দাবি করেন, ‘সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।’ তাঁরা লিখিতভাবে সচিবালয়ে ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আমান উল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকির হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আমি দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজে যেন সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারি, এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’