দেশের ৪৪টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অধীনে পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব লাইব্রেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কার্যক্রম নিয়েছেন বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিজাইন এবং প্রাক্কলন অনুযায়ী লাইব্রেরি নির্মাণ করা হবে।

আরো পড়ুন:

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি: ফারুকী

২৫৩ জন গুমের প্রমাণ মিলেছে
‘জঙ্গিবাদবিরোধী’ প্রচারণাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে: কমিশন

রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ মোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ৫৩ লাখ টাকা। ৪৪ লাইব্রেরি স্থাপনের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের অনুকূলে এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, “আমি বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে দেখেছি কোথাও কোথাও শিক্ষার হার ৪২ শতাংশেরও নিচে। যেটা আমাদের জাতীয় গড়ের অর্ধেকের কাছাকাছি। এটা থেকে বোঝা যায় সেখানে শিক্ষার কি অবস্থা! তাই আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত ছিল যে উপজেলাগুলোতে শিক্ষার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম, সেখানে আমরা পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপন করবো। এটার জন্য বাজেট বরাদ্দ না থাকায় আমাদের বিশেষ বরাদ্দ থেকে এই উদ্যোগটা নিয়েছি।”

তিনি বলেন, “আমরা মাত্র ২৩ কোটি টাকায় ৪৪টি উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি করছি। প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য ৫৩ লাখ টাকা খুব বেশি কিছু নয়। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় যেখানে ডেডিকেটেড পাবলিক লাইব্রেরি নেই, সবগুলো উপজেলা আমরা এটা বাস্তবায়ন করব। ৪৪টা উপজেলা হচ্ছে আমাদের স্টার্টিং। সব এরিয়াতে আমরা এটা বাস্তবায়ন করব।”

উপদেষ্টা বলেন, “তবে আমাদের ফোকাস এরিয়া থাকবে একটা আধুনিক মানসম্মত লাইব্রেরি। যেখানে সবাই আসতে আগ্রহ বোধ করবেন। লাইব্রেরিটা আসলেই কাজে লাগবে। অন্যান্য সরকারি ভবনের মতো পড়ে না থাকে-সেটাই থাকবে আমাদের মূল লক্ষ্য।”

তিনি আরো বলেন, “রাজনৈতিক প্রিভিলেজের কারণে কোনো এলাকায় বেশি উন্নয়ন আর কোনো এলাকায় কম উন্নয়ন যাতে না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এমনটা যাতে আর না হয়। আমরা দেখেছি গোপালগঞ্জের একটি উপজেলায় গেলে দেখা যাচ্ছে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, আর রংপুরের আরেকটি জেলায় কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো.

রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ মিয়াসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল য উপদ ষ ট র জন য আম দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সদ্য সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ওঠা ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল নতুন বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ৫ কোল পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন

উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজসহ অন্যান্য ইউপি সদস্যরা গত ২৮ মার্চ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেন। 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকাকালীনও সারমিনা সাত্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। যা নিয়ে তখন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে সারমিনা সাত্তার যোগ দেন। এরপর থেকে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, পাথর কেলেঙ্কারি, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগ, নামজারিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভুয়া প্রকল্প থেকে টাকা উত্তোলনসহ নানা দুর্নীতি করেছেন।

বক্তব্যে ইউপি সদস্য মাসহুদ পারভেজ বলেন, ‘‘সারমিনা সাত্তার শুধু অনিয়ম-দুর্নীতিতে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণসহ মিথ্যা মামলার হুমকিও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি।’’  

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন খারুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস কদ্দুস মুন্সি, বাচ্চু মিয়া, শেরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহজাহান প্রমুখ। 

এ বিষয়ে জানতে সারমিনা সাত্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে সহকর্মীকে হত্যার দায়ে পুলিশ দম্পতির ফাঁসির আদেশ
  • ময়মনসিংহে সাবেক পুলিশ ও তার স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড
  • জাতীয় নির্বাচন: ৯১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
  • যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের পর পুলিশে সোপর্দ
  • নান্দাইলের ইউএনও’র দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন
  • ময়মনসিংহ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ
  • ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুমা গ্রেপ্তার
  • ময়মনসিংহে দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ
  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর