বন্দরে শ্রমিকদল কর্মী দুলালের করা মিথ্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ চর্চা পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি সাংবাদিক, লেখক ও কবি শেখ আরিফের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে হাজির হন সাংবাদিক শেখ আরিফ। এ সময় শেখ আরিফের পক্ষে জামিন চান তার আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
জামিন শুনানিতে আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল আদালতকে বলেন, এই মামলায় এজাহারে সাংবাদিক শেখ আরিফকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মুলত সে একজন গনমাধ্যম কর্মী। এটা জামিন যোগ্য।
পরিশেষে আদালত মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলাটি শুনানী শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, গত ২০ মে আনুমানিক রাত ২ টার দিকে বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজীকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রানা নামে একজন আহত হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত রানার বড় ভাই শ্রমিকদল কর্মী দুলালকে বাদী করে বন্দর থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি ক্রিমিনাল মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ২৬(৫)২৫ইং।
সেই মামলায় প্রতিহিংসা বশবতি হয়ে দলীয় প্রভাবশালী অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সাংবাদিক শেখ আরিফের নাম এজাহারে যুক্ত করে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়।
পরে ১৯ জুন সাংবাদিক শেখ আরিফ আদালতে হাজির হলে তাকে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট জামিন মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১..... ১০
আরো পড়ুন
সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রী হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট
আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
তিন মামলায় আইভীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর
রিমান্ড শেষে কারাগারে আইভী
আইভীর জামিন আবেদন শুনানি ২ জুন
না’গঞ্জ আদালতের বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতি, আইনজীবীর সহকারী আটক
২ দিনের রিমান্ডে সাবেক মেয়র আইভী
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.কম
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব দ ক শ খ আর ফ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ শ খ আর ফ র আইনজ ব ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আপিল বিভাগের বিচারকাজ পর্যবেক্ষণ করলেন নেপালের প্রধান বিচারপতি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশ সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বসে আজ রোববার এ শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন নেপালের প্রধান বিচারপতি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। বিরতির পর দুপুর ১২টার আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন নেপালের প্রধান বিচারপতি। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। ষষ্ঠ দিনের শুনানি গ্রহণের পর ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন নেপালের প্রধান বিচারপতি।
বিরতির পর আপিল শুনানি শুরুর আগে নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। নেপালের প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এরপর শুনানি শুরু হয়। প্রথমার্ধে বিএনপির মহাসচিবের করা আপিলের ওপর শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তখন শুনানিতে অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এমন প্রসঙ্গ ওঠে।
বিরতির পর এ বিষয়ে শুনানিতে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। শর্ট অর্ডারে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ওই রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো, দাঁড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।
এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখটি হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না।