স্বামীকে ছুরিকাঘাতের পর নিজের শরীরে কোপ
Published: 20th, June 2025 GMT
গোপালগরঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে সৌদি আরব প্রবাসী স্বামী বায়েজিদ সিকদারকে কুপিয়ে আহত করেছেন এক নারী। ঘটনার পরপরই নিজের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত স্বামীর নাম বায়েজিদ সিকদার। তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ওহাব আলী শিকদারের ছেলে। অভিযুক্ত নারীর নাম মানসুরা খানম। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের কবির হাওলাদারের মেয়ে এবং আহত বয়েজিদ সিকদারের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
মায়ের মৃত্যুর খবরে দেশে আসা প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যা
বায়েজিদ সিকদারের মা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, মাস খানেক আগে বায়েজিদ সৌদি আরব থেকে দেশে আসে। এরপর থেকেই পরকীয়া প্রেম নিয়ে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আজ শুক্রবার আবারো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
এসময় মানসুরা স্বামী বায়েজিদকে ছুরিকাঘাত করেন। বায়েজিদ মারা যেতে পারেন এমন ধারণা থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরে কোপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনসুরা। আশপাশের লোকজন চিৎকারে শুনে ছুটে গিয়ে আহত দুইজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম জানান, জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯-নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আহত স্বামী-স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পযর্ন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা অনলাইন বেটিংয়ে জড়িত, তাদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সভায় ফয়েজ আহমদ বলেন, দেশকে অনলাইন জুয়া থেকে মুক্ত করতে হলে জুয়ার চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করা, ট্রাফিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লিংকের গতি ধীর করা এবং যে নম্বর বা এমএফএস (মোবাইলে আর্থিক সেবা) অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যাচাইয়ের পর এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে। তবে ন্যায্যতা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিম ও এমএফএসের ইকেওয়াইসি (গ্রাহকের পরিচয় যাচাই) সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন
কমিশনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধে বিটিআরসি থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মেইল দেওয়া শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো কীভাবে তাদের ওয়েব ব্রাউজার ও এডসেন্স সেটআপ করবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ভেটিং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভেটিং শেষে তা সংশ্লিষ্ট সব গণমাধ্যমকে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত গাইডলাইনও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটা অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হবে।
সভায় তিনি আরও জানান, অনলাইন জুয়ায় জড়িত প্রায় ৫ হাজার এমএফএস হিসাব ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। সরকার এখন একটি কমন ডেটাবেজ (তথ্যভান্ডার) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম ও অপারেটরদের সমন্বয়ে তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে।
সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর সিম সংখ্যা ১০টিতে সীমিত করলে জুয়া প্রতিরোধে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে যারা জুয়া খেলছে, তাদের শনাক্ত করাও জরুরি।
সভায় অনলাইন স্ক্যাম ও জুয়া প্রতিরোধে মাদক অধিদপ্তরের মতো একটি বিশেষ সংস্থা গঠন এবং ক্রস-ডোমেইন মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে সার্ভিস, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।