৩০০ আসনে এমপি প্রার্থী বাছাই করছে ইসলামী আন্দোলন
Published: 20th, June 2025 GMT
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে তিনশ আসনে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম শুরু করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রার্থী বাছাই করতে সারা দেশ সফর করছে কেন্দ্রীয় টিম।
এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২০ জুন) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩টি আসনে প্রার্থী বাছাই উপলক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে।
দিনভর তৃণমূল নেতাকর্মীদের (পুরুষ ও মহিলা ইউনিট উভয়) থেকে ব্যালটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হয়। তাদের মতামত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করবে।
যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন ঢাকা-৫ আসন, দুপুর ২টায় সূত্রাপুরে ঢাকা-৬ এবং সন্ধ্যা ৬টায় বাসাব খেলার মাঠে ঢাকা-৯ আসনের বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব এমএইচ মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম তার পৃথক ৩টি বক্তব্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক দাওয়াতি কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিগত আমলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে এখন দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন কাঙ্খিত মুক্তির জন্য আদর্শিক পরিবর্তন চায়। আর ইসলামকে বিজয়ী করা ব্যাতিত দেশে স্থায়ী শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না।
তিনি বলেন, “সন্ত্রাস, চাদাবাজ ও দখলদারমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ঢাকাবাসীকে ইসলাম ও মানবতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে। ভবিষ্যতেও যাতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে না পারে সেজন্য ঢাকাবাসীসহ সর্বস্তরের দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার চিন্তা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা অনলাইন বেটিংয়ে জড়িত, তাদের মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সভায় ফয়েজ আহমদ বলেন, দেশকে অনলাইন জুয়া থেকে মুক্ত করতে হলে জুয়ার চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করা, ট্রাফিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে লিংকের গতি ধীর করা এবং যে নম্বর বা এমএফএস (মোবাইলে আর্থিক সেবা) অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যাচাইয়ের পর এসব অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে। তবে ন্যায্যতা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া সিম ও এমএফএসের ইকেওয়াইসি (গ্রাহকের পরিচয় যাচাই) সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন
কমিশনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অনলাইন জুয়া বন্ধে বিটিআরসি থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মেইল দেওয়া শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো কীভাবে তাদের ওয়েব ব্রাউজার ও এডসেন্স সেটআপ করবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ভেটিং প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভেটিং শেষে তা সংশ্লিষ্ট সব গণমাধ্যমকে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনসংক্রান্ত গাইডলাইনও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটা অনুমোদনের পর প্রকাশ করা হবে।
সভায় তিনি আরও জানান, অনলাইন জুয়ায় জড়িত প্রায় ৫ হাজার এমএফএস হিসাব ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। সরকার এখন একটি কমন ডেটাবেজ (তথ্যভান্ডার) তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম ও অপারেটরদের সমন্বয়ে তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে।
সভায় বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর সিম সংখ্যা ১০টিতে সীমিত করলে জুয়া প্রতিরোধে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে যারা জুয়া খেলছে, তাদের শনাক্ত করাও জরুরি।
সভায় অনলাইন স্ক্যাম ও জুয়া প্রতিরোধে মাদক অধিদপ্তরের মতো একটি বিশেষ সংস্থা গঠন এবং ক্রস-ডোমেইন মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে সার্ভিস, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।