পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল পাকিস্তানের করাচিতে অভিনেত্রীর নিজ বাসভবন থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগেই তিনি মারা গেছেন। অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৭। খবর আরব নিউজের

পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশা খান কয়েক বছর ধরে একা থাকতেন। সামাজিক অনুষ্ঠানও এড়িয়ে চলতেন। তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কেউ দরজা খোলেনি। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে অভিনেত্রীর পচা–গলা দেহ দেখতে পায়।

মরদেহ প্রথমে করাচির জিন্নাহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর মরদেহ সোহরাব গোথে ইধি ফাউন্ডেশনের মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মৃত্যুর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি স্পষ্ট করতে পুলিশ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা আয়েশা খান পাকিস্তানি বিনোদনজগতের একটি সুপরিচিত নাম ছিলেন। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী খালেদা রিয়াসাতের বড় বোন। ‘আখরি রক’, ‘টিপু সুলতান: দ্য টাইগার লর্ড’, ‘ডালিজ’, ‘ক্র্যাকস’, ‘বোল মেরি ফিশ’, ‘এক অউর আসমান’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোতে কাজ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনমডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক১৭ জুন ২০২৫

এ ছাড়া ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ‘মুসকান’, ‘ফাতিমা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আয়েশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পাকিস্তানি শিল্পী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভক্তরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।

এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।

এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ