পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 21st, June 2025 GMT
পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা খানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল পাকিস্তানের করাচিতে অভিনেত্রীর নিজ বাসভবন থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সপ্তাহখানেক আগেই তিনি মারা গেছেন। অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৭৭। খবর আরব নিউজের
পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশা খান কয়েক বছর ধরে একা থাকতেন। সামাজিক অনুষ্ঠানও এড়িয়ে চলতেন। তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কেউ দরজা খোলেনি। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে অভিনেত্রীর পচা–গলা দেহ দেখতে পায়।
মরদেহ প্রথমে করাচির জিন্নাহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর মরদেহ সোহরাব গোথে ইধি ফাউন্ডেশনের মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মৃত্যুর পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি স্পষ্ট করতে পুলিশ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা আয়েশা খান পাকিস্তানি বিনোদনজগতের একটি সুপরিচিত নাম ছিলেন। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী খালেদা রিয়াসাতের বড় বোন। ‘আখরি রক’, ‘টিপু সুলতান: দ্য টাইগার লর্ড’, ‘ডালিজ’, ‘ক্র্যাকস’, ‘বোল মেরি ফিশ’, ‘এক অউর আসমান’-এর মতো জনপ্রিয় টিভি শোতে কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনমডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার, হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক১৭ জুন ২০২৫এ ছাড়া ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’, ‘মুসকান’, ‘ফাতিমা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। আয়েশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পাকিস্তানি শিল্পী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভক্তরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
এমবিই খেতাবে ভূষিত এমজেএফ নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম
যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
আজ বুধবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের হাতে এমবিই খেতাবের স্মারক তুলে দেন।
বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজা তৃতীয় চার্লস শাহীন আনামকে অনারারি এমবিই খেতাবের জন্য মনোনীত করেছিলেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাজ্য দুই দশকের বেশি সময় ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার ৪৬০টির বেশি তৃণমূল সংগঠনকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে সবার জন্য মর্যাদা, অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তনশীল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সারাহ কুক বলেন, ‘আমি রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে শাহীন আনামকে এই পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আনন্দিত। মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি তাঁর অক্লান্ত নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে—যা আমাদের দুই দেশের মধ্যকার মূল্যবোধ ও টেকসই অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’