মলত্যাগের সময় ব্যথা করছে, কী করব?
Published: 22nd, October 2025 GMT
প্রশ্ন: আমার বয়স ২২ বছর। গতকাল রাতে হঠাৎ টয়লেটে বসে খেয়াল করি, মলত্যাগের স্থানে ব্যথা করছে, রক্ত পড়ছে। টয়লেট ঠিকমতো হচ্ছে না। আগে কখনো এমনটা হয়নি। এটি কী কারণে হতে পারে? আর আমার এখন কী করা উচিত?
তনয় রায়, ঢাকা।
পরামর্শ: বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে, পাইলস (অর্শ) অথবা অ্যানাল ফিশারের (গেজ) কারণে আপনার সমস্যাটি হচ্ছে। রেকটামের (মলাশয়) নিচের অংশ ও মলদ্বার ঘেঁষে থাকা রক্তনালিগুলো কোনো কারণে ফুলে গেলে কিংবা এগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি হলে পাইলস হয়। আর কোষ্ঠকাঠিন্য, মল অধিক শক্ত এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপের কারণে মলদ্বার ছোট ছোট আকারে ছিঁড়ে গিয়ে ঘা তৈরি হলে সেটিকে বলে অ্যানাল ফিশার। এ দুই কারণ ছাড়াও আপনার সমস্যাটি পলিপ কিংবা প্রোকটাইটিসের (মলদ্বারের আস্তরণের প্রদাহ) কারণেও হতে পারে।
আপনি দ্রুত একজন গ্যাস্ট্রোএন্ট্রারোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক কারণটি জেনে নিন। সমস্যার কারণ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে অল্প দিনেই সেরে উঠতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে শরীরের চাহিদামাফিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন। খাদ্যতালিকায় রাখুন আঁশযুক্ত ও সহজপাচ্য খাবার। মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবেন না। আপাতত এগুলো মেনে চলুন। চিকিৎসকের পরামর্শে আশা করি সেরে উঠবেন।
আরও পড়ুন‘আগে ওনার খোঁজ পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতাম না’১০ ঘণ্টা আগেপ্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানাঅধুনা
প্রথম আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected],
খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা’
আরও পড়ুনরাত জাগি না, তবুও দুই চোখের চারদিকের ত্বক শুষ্ক হয়ে আসছে কেন১৬ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মলত য গ র স
এছাড়াও পড়ুন:
চিড়িয়াখানায় কেমন আছে ‘ডেইজি’
জাতীয় চিড়িয়াখানার সিংহী ‘ডেইজি’ মূল খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়েছিল শুক্রবার বিকেলে। চিড়িয়াখানার কর্তব্যরত ব্যক্তিরা তড়িঘড়ি করে একটি লোহার খাঁচা দিয়ে প্রাণীটির পথ আটকে দেন। তা না হলে দর্শনার্থীসহ অন্যদের বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।
গতকাল শনিবার মিরপুরে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, ডেইজির মূল খাঁচার দরজার বাইরে দর্শনার্থী যাতে খাঁচার একদম কাছে যেতে না পারে, সে জন্য লোহার গ্রিলের ব্যারিকেড দেওয়া। তারপর বেশ খানিকটা ফাঁকা জায়গা। ডেইজি এ ফাঁকা জায়গায় চলে এসেছিল।
সিংহী বের হয়ে সেখানকার পানির পাম্পের পাশে হরিণের খাঁচার কাছে বসে। হরিণের দল ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন জুনিয়র অফিসার মো. ওবায়দুল বারী খান। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা নতুন করে বেড়া লাগিয়েছেন। তাঁদের কোনো ঝুঁকিভাতা নেই বলে জানান ওবায়দুল বারী।
গতকাল ডেইজির শারীরিক ও মানসিক ধকলের কথা চিন্তা করে ডেইজিকে মূল খাঁচার ভেতরের নির্দিষ্ট কক্ষ থেকে বের করা হয়নি। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীদের একটি ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পরিচালক বললেন, এমনিতে অন্য দিনের মতোই ডেইজি খাওয়াদাওয়া করছে। তবে পায়চারি করছে ঘনঘন।শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে খাঁচা থেকে বের হয়ে পড়ে সিংহীটি। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত দর্শনার্থীদের চিড়িয়াখানা থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পৌনে দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘ট্রাঙ্কুলাইজারগান’ দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে সিংহীটিকে অচেতন করা হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেটিকে আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।
সিংহী ‘ডেইজি’ খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার পরদিন খাঁচার বেষ্টনী আরও মজবুত করার পরিকল্পনা করছেন কর্মকর্তারা।