৪৯ রানে মুশফিক রান আউট হওয়ার পররপরই বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিল খেলা। এরই মধ্যে লাঞ্চের বিরতি দিয়েছেন আম্পায়াররা। নাজমুল এক প্রান্তে ১৬৮ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত। পঞ্চম ও শেষ দিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারানোর বিনিময়ে ১৯ ওভারে ৬০ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

৪৯ রানে মুশফিকের রান আউটের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

ফিফটি ছুঁতে দ্রুত এক রান নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু ৪৯ রানে থাকা অবস্থায় থারিন্দুর থ্রোতে হয়ে গেছেন রান আউট। ১০২ বলে চারটি চারে সাজানো মুশফিকের এই ইনিংস। তিনি ফেরার পরই বৃষ্টি নামে। বন্ধ হয় খেলা। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২৩৭। নাজমুল অপরাজিত আছেন ৮৯ রানে। বাংলাদেশের লিড ২৪৭।

শান্ত-মুশফিকে শতরানের জুটি, লিড বেড়ে ২৪৩

শান্ত-মুশফিকে প্রথম ইনিংসে এসেছিল ২৬৪ রানের জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ইতোমধ্যে শতরাঙের জুটি পেয়েছে তারা। দুজনের জুটি শতক ছুঁয়েছে ১৬৭ বলে। ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক, ম‍্যাচে আরেকটি সেঞ্চুরির পথে শান্ত। ৭২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২৩৩। ৪৮ রানে খেলছেন মুশফিক। ৮৬ রানে ব‍্যাট করছেন শান্ত।

শান্ত-মুশফিকে ২০০ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড

লিড বাড়ানোর আশায় গল টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে বাংলাদেশ। ১৮৭ রানের লিড নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্ত। দুই ব্যাটার মিলে এখন পর্যন্ত যোগ করেছেন আরও ১৯ রান। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৯৬। ইতোমধ্যে দুইশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের লিড। ৬৬ রানে খেলছেন শান্ত, ৩১ রানে ব‍্যাট করছেন মুশফিক।

গল টেস্টের পঞ্চম দিন এখন বাংলাদেশ এমন এক অবস্থানে আছে, যেখান থেকে জয়, ড্র কিংবা হারতেও পারে বাংলাদেশ। টাইগারদের জিততে হলে স্কোরবোর্ডে ভালো পুঁজি তুলে লঙ্কানদের অলআউট করতে হবে। ড্র করতে হলেও ভালো পুঁজি দরকার। কারণ অলআউট করা না গেলেও যেন সারাদিন পার করতে পারে বাংলাদেশ। আবার পঞ্চম দিন বাংলাদেশ যদি ব্যাটিং ধসে পড়ে তাহলে ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ম্যাচ জিততেও পারে লঙ্কানরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান

ফয়সালাবাদে ফয়সালার আগে চরম নাটকীয়তা! ম্যাচটা দেখে থাকলে এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে তখন মুখ গোমড়া করে ছিলেন বাবর আজম, সালমান আলী আগার মাথায় হাত। মুহূর্তের মধ্যেই কী হতে যেন কী হয়ে যাচ্ছিল।

৬ উইকেট হাতে নিয়ে এক সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সালমান ও হুসেইন তালাত।

এরপর লুঙ্গি এনগিডি এই জুটি ভাঙতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামল। হাসান নেওয়াজ ও সালমানকে ফেরানোর পর জয়ের সম্ভাবনা জাগাল দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ নেওয়াজকে আউট করার পর প্রোটিয়ারা ম্যাচটা আরও জমিয়ে তুলল।

তবে শেষ পর্যন্ত পারল না। ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তজার্তিক ক্রিকেট ফেরার দিনে সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান। ড্রেসিংরুমের সবাই ফেললেন স্বস্তির নিশ্বাস। শহরটির ক্রিকেটপ্রেমীরা হাসিমুখেই বাড়ির পথে যাত্রা করলেন।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান লক্ষ্যে পৌঁছাল ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে। এ জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।

এ ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহিন আফ্রিদির। দলকে জিতিয়েই তিনি মাঠ ছাড়লেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ অলআউট (ডি কক ৬৩, প্রিটোরিয়াস ৫৭, ম্যাথু ব্রিটজকে ৪২, বশ ৪১; নাসিম ৩/৪০, আবরার ৩/৫৩, আইয়ুব ২/৩৯)।

পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৪/৮ (সালমান ৬২, রিজওয়ান ৫৫, ফখর ৪৫, আইয়ুব ৩৯; বশ ২/৩২, এনগিডি ২/৪৬, ফেরেইরা ২/৫৩)।

ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান আলী আগা।

সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ তে এগিয়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান