স্পেনে মুসলিম স্থাপত্যের ৫ কাহিনি
Published: 21st, June 2025 GMT
স্পেনের বুকে ইসলামি সংস্কৃতির হাজার বছরের গভীর ছাপ রয়েছে, যা আজও দেশটির স্থাপত্যে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ পায়। গ্রানাদার আলহাম্বরা থেকে কর্ডোভার মহান মসজিদ—এই স্থাপত্যগুলো কেবল পাথরের নির্মাণ নয়, বরং মুসলিম শাসনের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের জীবন্ত সাক্ষ্য।
৭১১ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর আফ্রিকার মুসলিমদের আগমনের সঙ্গে শুরু হয়েছিল এই ঐতিহ্য, যা স্পেনের ভাষা, রান্না এবং স্থাপত্যে অমলিন ছাপ রেখেছে। আজ স্পেনে ২৫ লাখ মুসলিম বাস করেন, যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মাত্র। কিন্তু এই স্থাপত্যগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ইসলাম স্পেনের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহ পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে আছে, যাতে মানুষ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।’ (সুরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৫৩)।
আসুন, স্পেনের পাঁচটি অসাধারণ ইসলামি স্থাপত্যের গল্প শুনি।
১.গ্রানাদার আলহাম্বরা
গ্রানাদার আলহাম্বরা বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মুসলিম স্থাপত্যগুলোর একটি। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নাসরিদ রাজবংশের শাসকেরা এই দুর্গ ও প্রাসাদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। ‘আলহাম্বরা’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘আল-হামরা’ থেকে, যার অর্থ ‘লাল’, সম্ভবত এর দেয়ালের লালচে আভার কারণে।
এই কমপ্লেক্সে ছিল সেনাবাহিনীর সুরক্ষিত দুর্গ, শাসকদের প্রাসাদ এবং একটি মসজিদ। ১৫ শতকে মুসলিম শাসনের অবসানের পর মসজিদগুলো গির্জায় রূপান্তরিত হয় এবং স্পেনের শাসক চার্লস পঞ্চম (কার্লোস প্রথম) কিছু অংশ ধ্বংস করে ভিন্ন শৈলীতে প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
আল্লাহর নিদর্শনসমূহ পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে আছে, যাতে মানুষ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।’সুরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৫৩ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির আগা খান প্রোগ্রামের পরিচালক নাসের রাব্বাত বলেন, ‘আলহাম্বরা একটি জীবন্ত প্রকল্প, যা খ্রিষ্টান শাসনেও পুনর্নির্মিত হয়েছে। এর সূক্ষ্ম ও জটিল নকশা এটিকে অনন্য করে রেখেছে।’
এর অলংকৃত খিলান, কাব্যিক পরিবেশ, বাগানসহ প্রাসাদগুলো মুসলিম শিল্পের বারোক শৈলীর প্রতিনিধিত্ব করে। ইউনেসকো স্বীকৃত এই স্থাপত্য পর্যটকদের মনে মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট করে।
কর্ডোভার মসজিদের দেয়ালউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
স্পেনে মুসলিম স্থাপত্যের ৫ কাহিনি
স্পেনের বুকে ইসলামি সংস্কৃতির হাজার বছরের গভীর ছাপ রয়েছে, যা আজও দেশটির স্থাপত্যে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ পায়। গ্রানাদার আলহাম্বরা থেকে কর্ডোভার মহান মসজিদ—এই স্থাপত্যগুলো কেবল পাথরের নির্মাণ নয়, বরং মুসলিম শাসনের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারের জীবন্ত সাক্ষ্য।
৭১১ খ্রিষ্টাব্দে উত্তর আফ্রিকার মুসলিমদের আগমনের সঙ্গে শুরু হয়েছিল এই ঐতিহ্য, যা স্পেনের ভাষা, রান্না এবং স্থাপত্যে অমলিন ছাপ রেখেছে। আজ স্পেনে ২৫ লাখ মুসলিম বাস করেন, যা মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মাত্র। কিন্তু এই স্থাপত্যগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ইসলাম স্পেনের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহ পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে আছে, যাতে মানুষ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।’ (সুরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৫৩)।
আসুন, স্পেনের পাঁচটি অসাধারণ ইসলামি স্থাপত্যের গল্প শুনি।
১. গ্রানাদার আলহাম্বরাগ্রানাদার আলহাম্বরা বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মুসলিম স্থাপত্যগুলোর একটি। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নাসরিদ রাজবংশের শাসকেরা এই দুর্গ ও প্রাসাদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন। ‘আলহাম্বরা’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘আল-হামরা’ থেকে, যার অর্থ ‘লাল’, সম্ভবত এর দেয়ালের লালচে আভার কারণে।
এই কমপ্লেক্সে ছিল সেনাবাহিনীর সুরক্ষিত দুর্গ, শাসকদের প্রাসাদ এবং একটি মসজিদ। ১৫ শতকে মুসলিম শাসনের অবসানের পর মসজিদগুলো গির্জায় রূপান্তরিত হয় এবং স্পেনের শাসক চার্লস পঞ্চম (কার্লোস প্রথম) কিছু অংশ ধ্বংস করে ভিন্ন শৈলীতে প্রাসাদ নির্মাণ করেন।
আল্লাহর নিদর্শনসমূহ পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে আছে, যাতে মানুষ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।’সুরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৫৩ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির আগা খান প্রোগ্রামের পরিচালক নাসের রাব্বাত বলেন, ‘আলহাম্বরা একটি জীবন্ত প্রকল্প, যা খ্রিষ্টান শাসনেও পুনর্নির্মিত হয়েছে। এর সূক্ষ্ম ও জটিল নকশা এটিকে অনন্য করে রেখেছে।’
এর অলংকৃত খিলান, কাব্যিক পরিবেশ, বাগানসহ প্রাসাদগুলো মুসলিম শিল্পের বারোক শৈলীর প্রতিনিধিত্ব করে। ইউনেসকো স্বীকৃত এই স্থাপত্য পর্যটকদের মনে মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট করে।
কর্ডোভার মসজিদের দেয়াল