পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় আসকের উদ্বেগ, তদন্তের দাবি
Published: 21st, June 2025 GMT
কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জে পৃথক ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। প্রতিষ্ঠানটি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসক এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ জুন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকা থেকে শেখ জুয়েল (৩৫) নামে একজন যুবককে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক করে পুলিশ। আটক অবস্থায় থানা হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, জুয়েল পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন।
এরআগে ১৩ জুন রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর এলাকা থেকে ফিরোজা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকা সত্ত্বেও তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে থানা হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনাকে পুলিশ ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও, এখন পর্যন্ত থানা ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়নি, যা পরিস্থিতির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
এতে বলা হয়, উভয় ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে, পুলিশ এসব অভিযোগকে আমলে না নিয়ে আগেভাগেই হেফাজতে মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করেছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের এ ধরনের বক্তব্য পরিবার কর্তৃক অভিযোগগুলোর প্রতি মৌলিক–নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থি। তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একতরফা ব্যাখ্যার মাধ্যমে কোনো অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার এখতিয়ার নেই। প্রতিটি অভিযোগ স্বাধীনভাবে যাচাই করে সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপরই বর্তায়।
পুলিশ হেফাজতে নাগরিকের মৃত্যুর অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি এবং ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩’-এর আওতায় স্পষ্টত তদন্তযোগ্য। এ ধরনের ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত অপরিহার্য, যাতে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিরপেক্ষভাবে খুঁজে বের করা যায় এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইন ও স ল শ ক ন দ র ঘটন য় তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান
ফয়সালাবাদে ফয়সালার আগে চরম নাটকীয়তা! ম্যাচটা দেখে থাকলে এমন মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে তখন মুখ গোমড়া করে ছিলেন বাবর আজম, সালমান আলী আগার মাথায় হাত। মুহূর্তের মধ্যেই কী হতে যেন কী হয়ে যাচ্ছিল।
৬ উইকেট হাতে নিয়ে এক সময় ২৭ বলে মাত্র ২৩ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সালমান ও হুসেইন তালাত।
এরপর লুঙ্গি এনগিডি এই জুটি ভাঙতেই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধস নামল। হাসান নেওয়াজ ও সালমানকে ফেরানোর পর জয়ের সম্ভাবনা জাগাল দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ নেওয়াজকে আউট করার পর প্রোটিয়ারা ম্যাচটা আরও জমিয়ে তুলল।
তবে শেষ পর্যন্ত পারল না। ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তজার্তিক ক্রিকেট ফেরার দিনে সহজ ম্যাচ কঠিন বানিয়ে জিতল পাকিস্তান। ড্রেসিংরুমের সবাই ফেললেন স্বস্তির নিশ্বাস। শহরটির ক্রিকেটপ্রেমীরা হাসিমুখেই বাড়ির পথে যাত্রা করলেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান লক্ষ্যে পৌঁছাল ২ উইকেট আর ২ বল হাতে রেখে। এ জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১–০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকেরা।
এ ম্যাচ দিয়েই পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে শাহিন আফ্রিদির। দলকে জিতিয়েই তিনি মাঠ ছাড়লেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ অলআউট (ডি কক ৬৩, প্রিটোরিয়াস ৫৭, ম্যাথু ব্রিটজকে ৪২, বশ ৪১; নাসিম ৩/৪০, আবরার ৩/৫৩, আইয়ুব ২/৩৯)।
পাকিস্তান: ৪৯.৪ ওভারে ২৬৪/৮ (সালমান ৬২, রিজওয়ান ৫৫, ফখর ৪৫, আইয়ুব ৩৯; বশ ২/৩২, এনগিডি ২/৪৬, ফেরেইরা ২/৫৩)।
ফল: পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান আলী আগা।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ তে এগিয়ে।