Samakal:
2025-11-04@18:36:26 GMT

আফসোসে রেখে গল টেস্ট ড্র

Published: 21st, June 2025 GMT

আফসোসে রেখে গল টেস্ট ড্র

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাজমুল হোসেন শান্তকে তুলাধুনা করা হচ্ছিল গল টেস্ট ড্র মেনে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই। সমর্থকদের কাছে মনে হয়েছে, পঞ্চম দিন সকালে শান্ত মন্থর ব্যাটিং করায় আগেভাগে ইনিংস ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি ম্যাচ জয়ের চিন্তা না করে রক্ষণাত্মক কৌশল নেন নিরাপদ ড্রয়ের লক্ষ্যে। এটিও বলা হয়েছে, অধিনায়কের উদ্দেশ্য ছিল সেঞ্চুরি করা। প্রত্যাশা পূরণ না হলে সমর্থকরা কখনও কখনও হয়ে ওঠেন সমালোচক। গল টেস্ট ড্র করা নিয়ে তাদের সেই আক্ষেপ। অনেক যদি, কিন্তু মেলানো গেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট ম্যাচটি হয়তো শেষ দুই সেশনে জয়ের জন্য খেলা সম্ভব হতো। শান্তরা সেই যদি, কিন্তু মেলাতে পারেননি মূলত পঞ্চম দিন সকালে এক ঘণ্টা ব্যাটিং করার পর বৃষ্টির কারণে তিন ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকায়। সকালের বৃষ্টিই বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন থেকে ছিটকে দেয়। জয়ের সমীকরণ না মেলার আক্ষেপ থাকলেও ড্র টেস্টও প্রাপ্তিতে ভরপুর। শান্তর জোড়া সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি, নাঈম হাসানের পাঁচ উইকেট অর্জনে গল থেকে আত্মবিশ্বাসের বাতাসে ফুসফুস ভরে নেওয়া গেছে কলম্বোর সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের জন্য। ২৫ জুন সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। 

স্কিল, ফিটনেসের সঙ্গে সাহস দেখাতে পারাও ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে সাহসী লোকের ভীষণ অভাব এ মুহূর্তে। টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই এই দুর্বলতা বড় হয়ে ধরা দিচ্ছে। সেমিফাইনালের সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো তুখোড় বুদ্ধিমান কোচও। গল টেস্টে ফিল সিমন্স, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ড্রেসিংরুমে থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ইনিংস ঘোষণা করার বার্তা দেওয়ার সাহস করেননি; বরং টেস্ট ম্যাচটি ড্র করার পরিকল্পনায় শান্তকে মন্থর ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করার সুযোগ করে দেন তারা। অথচ অধিনায়ক সেঞ্চুরি না করে লিড দেড়শ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে জয়ের লক্ষ্যে বোলিং করতে পারতেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে বোলিং-ফিল্ডিং করে গেলে ম্যাচের শেষটা উত্তাপ ছড়ানো রোমাঞ্চকর হতে পারত। এই জায়গাতেই মুনশিয়ানার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। 

১০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষ করে ৫৭ ওভার খেলে ৩ উইকেটে ১৭৭ রানে। ১৮৭ রানের লিড নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন ব্যাট করতে নামেন অপরাজিত জুটি মুশফিক-শান্ত। প্রথম থেকে মন্থর ব্যাটিং করতে থাকেন দু’জন। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৯ ওভারে ৬০ রান যোগ করেন তারা। বৃষ্টির কারণে বেলা ১১টা ৬ মিনিটে খেলা হওয়া ম্যাচ তিন ঘণ্টা পর আবার শুরু হয় দুপুর ২টা ৮ মিনিটে। শান্তরা ১১ ওভার না খেলে চাইলে দুই ওভার পরই ইনিংস ঘোষণা করতে পারতেন। তখনও ২৫৫ রানের লক্ষ্য দেওয়া যেত শ্রীলঙ্কাকে। এ ক্ষেত্রে শান্তর সেঞ্চুরি মিস হলেও বোলাররা জয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারতেন। সেটি না করে বৃষ্টির পর ১১ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ২৮৫ রানে পৌঁছে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি। শান্তর সেঞ্চুরি করতে লেগেছে ১৯০টি বল। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১২৫ রানে।

টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডবুকে নতুন করে নাম তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশের পর বিদেশেও এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরিয়ান তিনি। শান্ত প্রথম জোড়া সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে। বিদেশের মাটিতে এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি তিনি। টেস্ট ম্যাচে দুবার জোড়া সেঞ্চুরি করা দেশের একমাত্র ব্যাটার হলেন শান্ত। তবে দেশের প্রথম জোড়া সেঞ্চুরিয়ান হলেন মুমিনুল হক। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসে শতক পেয়েছিলেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। গল টেস্টের সেরা খেলোয়াড় শান্ত জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৪৮ রান করেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য এটি রেকর্ড। ২০১৩ সালে এই গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুশফিকের ২০০ রানই ছিল অধিনায়ক হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। এদিক থেকে গল টেস্টকে শান্তর টেস্টও বলা যেতে পারে। অধিনায়কের প্রাপ্তির টেস্টে বাংলাদেশের অর্জন ৪ পয়েন্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের মতো চতুর্থ আসরও পয়েন্ট অর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু করা গেছে। এই প্রাপ্তি দেশের ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচক।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গল ট স ট র জন য শ ন তর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল

বর্তমান সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে, সংকট উত্তরণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মন যুগিয়ে চলার নীতি বাদ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি দলের শীর্ষনেতারা। তারা বলেছেন, সরকার শুরু থেকে জনগণ বা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার কথা না ভেবে, কখনও বিএনপি, কখনও জামায়াত, কখনও এনসিপির চাপে সিদ্ধান্ত বদল করেছে, বর্তমান সংকটের এটাও একটা বড় কারণ।

বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি ও আপ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক‍্যের রাজনৈতিক চ‍্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

প্রধান আলোচক অধ্যাপক মুশতাক হোসেন বলেন, ‘‘সমাজকে পরিবর্তন করতে যে জাতি জীবন দিতে পারে সেই জাতি অনেক শ্রদ্ধার। নতুন বন্দোবস্ত চুক্তি করে হয় না, কারণ কায়েমি স্বার্থবাদীরা নতুন বন্দোবস্ত মেনে নেয় না। তবে নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’’

ইংল্যান্ডের টরি পার্টির বিরুদ্ধে দুর্বল রাজনৈতিক দলগুলোর বিপ্লবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সেখানেও সমঝোতা হয়নি, সংগ্রামের মধ্য দিয়েই জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।’’ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অনুসন্ধান চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায় তারা উচ্চকক্ষ নিম্নকক্ষ সব জায়গা দখলের পদ্ধতি জানে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘আস্থার অভাবে ঝগড়া করে এদেশে রাজনৈতিক দলগুলো সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথচ আস্থাশীল হলে সবাই লাভবান হতে পারত। এ দেশের মানুষের সহজে ক্ষমা করে দেয়ার প্রবণতার কারণে আওয়ামী লীগ বেচে গেছে। স্বার্থবাদী দলগুলো 'ভাইভাই রাজনীতি' করে বলেই স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্ট বারবার আসে।’’ 

অপরাধ করলে কোন না কোনভাবে শাস্তির ব্যবস্থা থাকতেই হবে জানিয়ে অধ্যাপক মুশতাক বলেন, ‘‘আস্থাহীনতা কমাতে হলে সামাজিক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে যেন অপরাধ করলে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়। অনিয়ম করলে তাকে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আস্থা অর্জন কঠিন হলেও নিজেদের মধ্যে আস্থা বজায় রাখতে হবে এবং চোরদের সাথে কখনো আপোষ করা যাবে না। যারা আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল তাদের কোন না কোনভাবে বিচার বা ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।’’

ঐক্যমত্য বা নতুন সংবিধান এখনি না হলেও লড়াই চালিয়ে গেলে জনতা পাশে থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ জানান। 

সভাপতির বক্তব্যে হাসনাত কাইউম বলেন, ‘‘অনেক মতদ্বৈততা থাকলেও দেশের প্রশ্নে এক হয়ে নতুন রাজনীতির জন্য কাজ করতে হবে। এখনি রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। হাসিনা-ওবায়দুল কাদেররা সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনভাবে সাজিয়েছে তার মধ্যেই ফ্যাসিস্ট হওয়ার উপাদান নিহিত আছে। অতীতে জনগণের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে পারার কারণে সফলতা এসেছে। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বকে কিছু বুড়ো মানুষ ভুল পথে পরিচালিত করেছে, এবং টাকাওয়ালাদের কাছে নিয়ে গেছে, ফলে রাষ্ট্রের সংস্কার আজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’’ 

পুরোনো পথে নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন হবে না। তিনটি দলের এই আয়োজন দল ও ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নয় বলেও জানান তিনি।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘‘বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ কথায় কথায় সংবিধানের রেফারেন্স দেন, এটা ভালো। তবে তার কাছে প্রশ্ন- ফ‍্যসিস্ট হাসিনা সংবিধানের কোন আর্টিকেলের আলোকে আপনাকে গুম করে বিনা ভাড়ায় বিনা টিকিটে শিলংয়ে নিয়ে গিয়েছিল? আমাদের জানতে ইচ্ছে করে।’’ 

এবি পার্টি শক্তিশালী হলে তার লোকেরা পাবলিক টয়লেট ইজারা নেবে না এমন গ্যারান্টি নাই মন্তব্য করে মঞ্জু বলেন, এই সংস্কৃতি বদলানোর জন্যই নতুন রাজনীতি দরকার। নতুন রাজনীতি দাঁড়াতে না পারার কারণ খোঁজার আহ্বান জানান তিনি। 

অধ্যাপক ইউনূসের সরকার তিন দলের চাপে পড়ে বারবার সিদ্ধান্ত বদল করে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের জন্য যা ভালো সেটা করতে হবে; কোনো দলের স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়।’’ জনগণের কথা না শোনায় উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আপনাদের কিছুদিন পর জনগণের কাতারে আসতে হবে।'

সরকারের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেন, এক-দুইটা রাজনৈতিক দলের মন যুগিয়ে চললে জুলাই শহীদ এবং আহতদের কাছে আজীবন ভিলেন হিসেবে অভিশাপ পেতে হবে।


আলি আহসান জুনায়েদ বলেন, হাসিনার হাতে ভেঙ্গে পড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শক্তিগুলি ক্ষমতা ভোগের উৎসবে মেতেছে। ভোট কেন্দ্র দখলে অভ্যস্ত এবং বিপ্লব বিরোধীরা ক্ষমতায় আসলে জনগন আবারো হতাশ হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।

জনগণকে অন্ধকারে রেখে চেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জনগনের রাষ্ট্র গঠন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি করা উচিৎ বলে মত দেন তিনি। গণভোটে দুইটা ব্যালট রাখার প্রস্তাব আবারো তুলে ধরেন তিনি। সংস্কার প্রশ্নে জনগণকে সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তিনি। 

শহিদ উদ্দিন স্বপন বলেন, আইনের শাসন না থাকা এবং বৈষম্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা।  জুলাই অভ্যুত্থানের পর সমাজ বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি হলেও রাজনৈতিক নেতাদের পুরোনো চিন্তাচেতনার কারণে মানুষ আশাহত হয়েছে। যেটুকু অগ্রগতি গত ১৫ মাসে হয়েছে তাকে ভিত্তি ধরে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

সৈয়দ হাসিব উদ্দিন বলেন, এই মুহুর্তে চরম দুর্বল অবস্থায় আছে বাংলাদেশ, এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই অবস্থার মোকাবেলায় নির্বাচন জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোকে গরম বক্তব্য না দিয়ে জনগনকে সাথে নিয়ে সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। 


অধ্যাপক আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, আমাদের দেশের সর্বস্তরে আস্থার প্রচণ্ড সংকট, এটি দূর করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জীবিত থাকতে আওয়ামী লীগ এদেশে রাজনীতি করবে সেটি হতে পারে না। অহমিকা ছেড়ে সব দলকে ঐক্যের পথে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ডায়নোসর অনেক বড় ছিল কিন্তু আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

আরেফিন মো. হিজবুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদকে নির্মূল করতে শেখ মুজিবের ছবি টানানো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাঠামোগত ফ্যাসিবাদ সংকটকে তরান্বিত করছে। যেসব জায়গায় ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ার আশংকা আছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে।

দিদার ভুইয়া বলেন, ছেড়া 'স্যান্ডেল থেকে ফাইভস্টার হোটেল কোন বিপ্লবীর চরিত্র হতে পারে না।' রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে আস্থাহীনতা বর্তমান সংকটের অন্যতম কারণ। উচ্চকক্ষে পিআর না মেনে বিএনপি নিজেদের ক্ষতি করছে। এমনকি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রাণহানির আশংকা তৈরি হচ্ছে। 

ব্যারিস্টার জোবায়ের বলেন, প্রশাসনে নিজস্ব লোক সেট করতে ব্যস্ত তিন দল অথচ টেকসই রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য রাজনৈতিক ইকো সিস্টেম জরুরি।

সভায় তিন দলের ঐক্যবদ্ধ পথ চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। 

রাইজিংবিডি/নঈমুদ্দীন নি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • বর্তমান সংকটের জন্য সরকার দায়ী, দলগুলোর চাপে সিদ্ধান্ত বদল