নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
Published: 22nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আবদুল কুদ্দুস (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কুদ্দুস বন্দরের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকার বাসিন্দা। ওই ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও বন্দর অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন যাবৎ স্থানীয় বিএনপির সমর্থক বাবু-মেহেদি এবং রনি-জাফর পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও সংঘর্ষ চলছিল। গত শুক্রবার দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে সংঘর্ষ জড়ায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রনি-জাফর পক্ষের পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা পান করতে বন্দর স্ট্যান্ডে যান। এ সময় তাঁকে চায়ের দোকান ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করেন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। স্বজনেরা নিহত ব্যক্তির মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চাষাড়া রেলস্টেশন ও ইসদাইরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৯ জনকে কারাদন্ড, আটক ১৮
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া রেলস্টেশন ও ইসদাইর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে ৮০ জন মাদকসেবী ও সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আটকদের মধ্যে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ১৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কারাদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জনকে ৭ দিন, ৩ জনকে ১৫ দিন এবং ৩ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দির মো. রাকিব (২০), রূপগঞ্জের মো. রাজন (২১) এবং কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মো. রবিন (২৫)।
১৫ দিনের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর (২৫), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মো. হানিফ (২৫) এবং মো. লিমন (১৯)।
এক মাসের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুরের মো. লেবু শেখ (৫০), মুন্সিগঞ্জের টুঙ্গীবাড়ির মো. ফারুক (৬৫) এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মো. সিয়াম (২০)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোনাব্বর হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিকভাবে আমরা প্রায় ৮০ জনকে আটক করি। পরে যাচাই-বাছাই শেষে ১৮ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাদের পরিচয় সিডিএমএস-এ যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নারায়ণগঞ্জে মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথম অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি থানায় থানায় অভিযান চালাব। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।