ময়মনসিংহের ফুলপুর বাস ও মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে আটজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

শনিবার (২১ জুন) রাত ১২টার দিকে সড়ক পরিবহন আইনে ফুলপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকুল সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আরো পড়ুন: ময়মনসিংহে এক দিনেই সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ

আরো পড়ুন:

বরগুনায় বাসচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

মামলায় বাসচালক মো.

রিপন (৪০) ও ট্রাক্টরচালক মো. রতন মিয়ার (২৫) নামে উল্লেখ করা হয়েছে। নাম না জানা আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। বাসচালক রিপন ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ সবজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং রতন ফুলপুর উপজেলার বাশাটি গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার মালেক শাহর ছেলে কাজিম উদ্দিন (২৮), নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে লাল মিয়া (৩৬), ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আফাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল (৩০), আ. কুদ্দুস আলীর স্ত্রী হাছিনা খাতুন (৫০), জবান আলীর ছেলে শামসুদ্দিন (৬৫), আলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া (৪০), ফুলপুর উপজেলার জসিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৮), মৃত মইজ উদ্দিনের ছেলে জাহের আলী (৭০)।

আরো পড়ুন: মাহিন্দ্রায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

এজাহারে বলা হয়েছে, হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী বাংলা পরিবহনের একটি বাস ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় আটজন নিহত হন। ঘটনাস্থলে লাইসেন্সবিহীন ট্রাক্টর রাতে দাঁড়িয়ে ছিল, যা দুর্ঘটনার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে। দুর্ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ফুলপুর থানার ওসি আবদুল হাদি বলেন, ‍“দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নেওয়ার আবেদন করলে তা হস্তান্তর করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন য় উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে খানকা শরিফে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০

ময়মনসিংহ নগরের সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে একদল লোক সেখানে ভাঙচুর চালায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের সুতিয়াখালী বাজারে প্রায় ১৭ বছর আগে স্থানীয় উসমান গণি ফকির সরকারি জমিতে একটি ঘর তুলে ওই খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি ভক্তদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি ‘গণি ফকিরের আস্তানা’ নামে পরিচিত। প্রতি শুক্রবার রাতে সেখানে সামা-কাওয়ালি গানের আয়োজন করা হতো। সম্প্রতি একদল মুসল্লি এই অনুষ্ঠানকে ‘অসামাজিক’ আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সুতিয়াখালী বাজারে ‘আতে রাসুল খাজা বাবার দায়রা শরিফ’ নামে একটি খানকা ভাঙচুর করে কিছু মানুষ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিযানের পর ধর্মঘটে অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা, ময়মনসিংহ মেডিকেলের রোগীদের দুর্ভোগ
  • রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পা‌রে
  • ময়মনসিংহে খানকা শরিফে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৬০
  • ময়মনসিংহে প্রতি সপ্তাহে কাওয়ালি গানের আসর বসা খানকা শরিফে ভাঙচুর
  • ময়মনসিংহে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ
  • আজ ‘ছিটেফোঁটা’ বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবে লঘুচাপ হতে পারে আবার