শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সোমবার মিরপুরে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দলে চমক হয়ে ফিরেছেন দুই বছর পর ওপেনার নাঈম শেখ। তবে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সৌম্য সরকার।

দলে নাঈমের ফেরাকে ‘পারফরম্যান্সের পুরস্কার’ হিসেবেই ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘দল নির্বাচনের সময় আমরা সেরা সম্ভাব্য কম্বিনেশন গড়ার চিন্তা করি। ওপেনার পজিশনটি বিশেষায়িত জায়গা। আমাদের দলে সাধারণত তিনজন ওপেনার থাকেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালো ও উপলব্ধ বিকল্প ছিল নাঈম শেখ।’

গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ১১ ম্যাচে ৬১৮ রান করে শীর্ষ তিনে ছিলেন নাঈম। এর আগে বিপিএলেও ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ধারাবাহিক ফর্মই তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় দলে ফেরার টিকিট। অন্যদিকে, সৌম্য সরকারের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সৌম্য সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটার। ১০ বছর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তো সাম্প্রতিক ক্রিকেটে যে দাবি তার সঙ্গে তিনি খাপ খাইয়ে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন। এবং বড় ক্যানভাসের সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা অফার করব এবং তিনি আমাদের মনে আছেন। তাকে আরো এক স্টেপ এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে যোগ্যতার আলোকে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৫ জুন কলম্বোতে। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে ২, ৫ ও ৮ জুলাই, প্রথম দুটি কলম্বোতে এবং শেষটি পাল্লেকেলেতে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম য সরক র গ জ আশর ফ হ স ন ল প

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে নেই এন্টিভেনম, ২ সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত ৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন রোগীরা।

সর্বশেষ শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের স্কুলছাত্র সাকিবুল ইসলাম (পঞ্চম শ্রেণি) বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায়।

জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর, এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসব হাসপাতালের কোথাও এন্টিভেনম মজুত ছিল না। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সাকিবুলের।

সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, “চারটা হাসপাতালে নিয়েও ভ্যাকসিন পাইনি। কোলের উপরেই ছেলেকে হারালাম। আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”

অন্যদিকে, সাকিবুলের মতো পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানীসহ গত দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন।

সম্পা রানীর স্বামী জিতেন বলেন, “হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওঝার কাছে যেতে হয়েছে। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।”

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, “বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত।”

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, “চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও সংকট রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত আনার।”

সাপের কামড়ে মৃত্যুর এই ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। চিকিৎসক ও সচেতন মহল বলছে, বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সরবরাহ করতে হবে।

ঢাকা/হিমেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ