বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড ড্রর জন্য খেলে না। তাঁর অধীন ৩৬ টেস্টে একবার ড্র করাই এর প্রমাণ। আর সেই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। তাই হেডিংলি টেস্টে আজ শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে সমীকরণ যখন ৩৫০ রান, হাতেও ১০ উইকেট—তখন তারা জয়ের পেছনে ছুটবে, সেটিই স্বাভাবিক।

ইংলিশ পেসার জশ টাং-ও সেটিই নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ড্রেসিংরুমে নাকি ড্র শব্দটি একবারও উচ্চারিত হয়নি। ওদিকে ভারতের লোকেশ রাহুল মনে করেন, ইংল্যান্ড জয়ের পেছনে ছুটলেই সেটি ভারতের জন্য ভালো হবে।

টাং কাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ড্রকে ভালো ফল হিসেবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ড্রেসিংরুমে পরিষ্কার একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। যতটা পারি ইতিবাচক থাকব। কাল (আজ) ভারত কিছু সময় ভালো বোলিং করবে, কিন্তু আমাদের দরকার চাপ সামলে রাখা এবং আবার চাপ সৃষ্টি করা। এই রান তাড়া না করার কোনো কারণ দেখছি না।’

কাল সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাহুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গুমের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়ল

আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ আগস্ট সময় নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। তাঁদের মধ্যে জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তাঁকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বাকি সব আসামি পলাতক।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি সময় নির্ধারণ করেন। সেদিন প্রতিবেদন দাখিল না হলে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেদিনও প্রতিবেদন জমা হয়নি। আজ আবার এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। আজও প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় আবারও দুই মাস সময় বাড়ানো হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ