টাং বললেন আমরা খেলব, রাহুল বললেন আসো খেলব
Published: 24th, June 2025 GMT
বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড ড্রর জন্য খেলে না। তাঁর অধীন ৩৬ টেস্টে একবার ড্র করাই এর প্রমাণ। আর সেই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। তাই হেডিংলি টেস্টে আজ শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে সমীকরণ যখন ৩৫০ রান, হাতেও ১০ উইকেট—তখন তারা জয়ের পেছনে ছুটবে, সেটিই স্বাভাবিক।
ইংলিশ পেসার জশ টাং-ও সেটিই নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ড্রেসিংরুমে নাকি ড্র শব্দটি একবারও উচ্চারিত হয়নি। ওদিকে ভারতের লোকেশ রাহুল মনে করেন, ইংল্যান্ড জয়ের পেছনে ছুটলেই সেটি ভারতের জন্য ভালো হবে।
টাং কাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ড্রকে ভালো ফল হিসেবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ড্রেসিংরুমে পরিষ্কার একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। যতটা পারি ইতিবাচক থাকব। কাল (আজ) ভারত কিছু সময় ভালো বোলিং করবে, কিন্তু আমাদের দরকার চাপ সামলে রাখা এবং আবার চাপ সৃষ্টি করা। এই রান তাড়া না করার কোনো কারণ দেখছি না।’
কাল সেঞ্চুরি পেয়েছেন রাহুল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’
নদীতে বড় বড় নৌযান সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা, যা ‘বাল্কহেড’ নামে পরিচিত। শত শত শ্রমিক নদীর পাড়ে জমা করে রাখা পাথর টুকরিতে ভরে সেই সব নৌযানে ওঠাচ্ছেন। কাছেই নদীতে চলছে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর), যা দিয়ে পানির নিচ থেকে পাথর ওঠানো হচ্ছে।
সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় পাথর লুটকারীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যেও এই দৃশ্য দেখা গেল কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীতে। লোভা নদী সীমান্তের ওপার থেকে এসে সুরমায় মিশেছে। এই নদীতেও পানির স্রোতের সঙ্গে ওপার থেকে পাথর আসে।
লোভা নদীর বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি পাথর কোয়ারি (যেখানে পাথর উত্তোলন করা হয়) রয়েছে। সেই কোয়ারিতে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা যেত। তারপর সরকার আর কোয়ারি ইজারা দেয়নি, মানে হলো পাথর তোলা নিষিদ্ধ। তবে নিলামে বিক্রি করা পাথর স্থানান্তরের নামে এখন সেখানে লুট চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বলছেন, পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, যাঁরা বিএনপির কোনো কোনো নেতার সঙ্গে মিলে কাজটি করছেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে নিলামে পাথর কেনা ঠিকাদারের যোগসাজশ রয়েছে।
লোভা নদী সিলেট শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। কানাইঘাট উপজেলা শহর থেকে এর দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। গতকাল রোববার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত নৌপথে সুরমা নদী হয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী লোভা নদীর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, সুরমা নদীর কানাইঘাট বাজারের বিপরীত অংশ স্টেশন এলাকায় একটি বাল্কহেডে অন্তত ১৫ জন শ্রমিক পাথর তুলছিলেন। আশপাশের অন্তত আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাথরের এমন স্তূপ দেখা গেছে। পাশে ক্রাশার মেশিনে (পাথর ভাঙার কল) পাথর ভাঙার কাজও করছিলেন শ্রমিকেরা।
ভাঙার পর শ্রমিকেরা নৌকায় পাথর তুলছেন। গতকাল দুপুরে কানাইঘাটের লোভাছড়ায়