সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কেন্দ্রী গ্রাম দিয়ে তাদের পাঠানো হয়। প্রবেশকারীদের আটক করেছে বিজিবি।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মিনাটিলা বিওপির টহল দলের সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের আটক করে। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেন। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ভারতে গমন করেন বলে জানায়। আটককৃতদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, ছয়জন নারী ও সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। 

৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, ‍১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। 

আরো পড়ুন:

ভুল করে ভারতে ঢোকা বিজিবি সদস্যকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ঢাকা/নূর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে এফসির সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা, বাহিনীর তিন সদস্যসহ ছয়জন নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারে আজ সোমবার সকালে আধা সামরিক বাহিনী ফেডারেল কনস্টাব্যুলারির (এফসি) সদর দপ্তরে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে এফসির তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।

পেশোয়ার শহরের সাদ্দার এলাকার ব্যস্ততম সড়কে সকাল আটটার দিকে এ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গায়ে চাদর মুড়িয়ে এক সন্ত্রাসী এফসি সদর দপ্তরের গেটের সামনে আসেন এবং আত্মঘাতী বোমা হামলা চালান। এর কয়েক সেকেন্ড পর আরও দুই সন্ত্রাসী সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে ঢোকার চেষ্টা করেন।  

পেশোয়ার ক্যাপিটাল সিটি পুলিশ কর্মকর্তা মিয়া সাইদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে তিন সন্ত্রাসী সদর দপ্তরে হামলার চেষ্টা করেছিল। একজন গেটে আত্মঘাতী হয়, আর দুজনকে এফসি সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছেন।

মিয়া সাইদ আহমদ আরও বলেন, এ হামলায় এফসির তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলার পরে সদর দপ্তরের বাইরে অভিযান চালানো হয়েছে। এফসি সদস্যদের সতর্কতার কারণে সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

আরও পড়ুনখাইবার পাখতুনখাওয়ায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি শাহবাজের১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ‘সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ায়’ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সেরে ওঠার প্রার্থনা করেছেন। তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।  

এফসির সদর দপ্তর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সেনানিবাসের কাছাকাছি অবস্থিত। এখানে ব্যারাক, হাসপাতাল ও আবাসিক কোয়ার্টার রয়েছে। হামলার সময় সেখানে একটি অ্যাসেম্বলি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এই হামলার পর লেডি রিডিং হাসপাতাল এবং খাইবার টিচিং হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দুই হাসপাতালে আহত ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  
আজকের ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে পেশোয়ারের নিরাপত্তা স্থাপনায় দ্বিতীয় বৃহৎ সন্ত্রাসী হামলা। ২০২৩ সালে পেশোয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকায় একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় ৮৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ সেনাসদস্য নিহত১৬ মার্চ ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানে এফসির সদর দপ্তরে আত্মঘাতী হামলা, বাহিনীর তিন সদস্যসহ ছয়জন নিহত
  • যশোর সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ