ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নেভানোর চেষ্টায় স্থানীয়রাও, রয়েছে পানির সংকট
Published: 25th, November 2025 GMT
রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে পাইপ কেটে যাওয়া এবং পানির কিছুটা সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সরেজিমেন দেখা যায়, কড়াইল বস্তির বউবাজার অংশের কুমিল্লা পট্টি, বরিশাল পট্টি ও ‘ক’ ব্লক এলাকায় আগুন লেগেছে। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। আর যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে, তাঁরা বউবাজার এলাকার খামারবাড়ি মাঠে অবস্থান করছেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার কথা জানানো হয়। আগুন নেভাতে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও পাঁচটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৬টি ইউনিট নিয়ে কাজ করছি। মাঝেমধ্যে পাইপ কেটে যাচ্ছে। ফলে পুরো সক্ষমতা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না; চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আগুনের উত্তর–পূর্ব দিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি। এই দিকটার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’
পানির সংকটের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তর–পূর্ব দিকে পানির কিছুটা সংকট রয়েছে। ফলে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বিপরীত পাশের লেক থাকায় পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে কাজ চলছে। আমরা কাজ করছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো সংবাদ দিতে পারব।’
আগুনে তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আগ ন ন ভ ক জ করছ ক জ কর ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
একদল মানুষ দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের চেষ্টা করছে: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। কিন্তু একদল মানুষ চায়, বিগত দিনে যেমনিভাবে একটি দল ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, এখনো একইভাবে সবকিছু চলুক। এ ক্ষেত্রে আমার বার্তা হলো, বাংলার মানুষ রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছে নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটি ইজারা দেওয়ার জন্য নয়। যারা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনৈতিক হিস্যা দিতে চায় না, তাঁরা একদলীয় ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের চেষ্টা করছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুনুল হক এ কথা বলেন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচনকালীন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা খেলাফত মজলিস।
মামুনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস হচ্ছে সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতির ইতিহাস। আমাদের দেশে একদল মানুষ রয়েছে, যারা রাতে হিন্দুদের ছোবল মারত, আবার দিনে ওঝা হয়ে ঝাড়ত। তারাই সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ইসলাম ক্ষমতায় গেলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের মানুষ সঠিক অধিকার পাবে। এমনকি তাদের অধিকার যারা হরণ করেছে, তা-ও পাই পাই করে আদায় করে দেওয়া হবে।’
মামুনুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের যেসব দেশপ্রেমী ইসলামি দল ও রাজনৈতিক পক্ষগুলো বাংলাদেশকে ভালোবাসে, যারা দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেখতে চায়, পুরোনো ধারা পাল্টে নতুন বন্দোবস্ত দেখতে চায়, যারা জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চায়—তাদের হাতে হাত রেখে জুলাই চেতনায় নতুন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আগামীর নির্বাচন শুধু প্রতীকের নির্বাচন নয়। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের নির্বাচন।’ তিনি উপস্থিত সবাইকে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
কটিয়াদী উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক রাশিদীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মাওলানা শফিকুল ইসলাম রুহানী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবদুল আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ হাদী, অর্থসম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।