সৌরভের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে রাজকুমার বললেন ‘খুব নার্ভাস লাগছে’
Published: 25th, June 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। তার বর্ণময় জীবন নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দর্শকের উত্তেজনা তুঙ্গে। ‘মহারাজ’-এর চরিত্রে কাকে দেখা যাবে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনার শেষে ছিল না। অবশেষে জানা গেছে, সৌরভের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা রাজকুমার রাওকে। এই অভিনেতা ভীষণ পছন্দ সৌরভের।
কলকাতা বাংলার ‘দাদা’র ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে খুশি অভিনেতাও। তবে পর্দায় ‘মহারাজ’-এর চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে খানিক নার্ভাস রাজকুমার।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সৌরভের চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি কনফার্ম করেছেন অভিনেতা। রাজকুমার বলেন, ‘আমি আসলে সত্যিই খুব নার্ভাস। এটা একটা গুরুদায়িত্ব বলা চলে। তবে হ্যাঁ, আমি কাজটার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। সবাই এই বায়োপিক দেখার জন্য মুখিয়ে। এত বড় মাপের একজন মানুষের চরিত্রের জন্য আমায় ভাবা হয়েছে যে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।’
জানা গেছে, সৌরভের চরিত্রের জন্য বাংলা ভাষা শেখার প্রতি জোর দিয়েছেন। স্ত্রী পত্রলেখার কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা উচ্চারণ রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সৌরভের ক্রিকেট জীবন থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে পড়াশোনাও করছেন অভিনেতা। ‘মহারাজ’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-সহ বেশ কিছু বিষয়েও প্রশিক্ষণ নিতে হবে তাকে। সব মিলিয়ে খানিক দুশ্চিন্তায় রাজকুমার।
সৌরভের চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন, সে কথা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন অভিনেতা। তবে গোটা জার্নিটা ভীষণভাবে উপভোগ করবেন বলেও আশাবাদী রাজকুমার রাও। মুক্তির তারিখ ঠিক না হলেও সৌরভ ও রাজকুমার দুই তারকার ভক্তরাই মুখিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।
এটি পরিচালনা করবেন বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানি। প্রযোজনা করছেন লাভ রঞ্জন। সূত্র: আনন্দবাজার ও এই সময়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আরো পড়ুন:
রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”
রাবি/ফাহিম/সাইফ