ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। তার বর্ণময় জীবন নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে সিনেমা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দর্শকের উত্তেজনা তুঙ্গে। ‘মহারাজ’-এর চরিত্রে কাকে দেখা যাবে তা নিয়েও বিস্তর আলোচনার শেষে ছিল না। অবশেষে জানা গেছে, সৌরভের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা রাজকুমার রাওকে। এই অভিনেতা ভীষণ পছন্দ সৌরভের।

কলকাতা বাংলার ‘দাদা’র ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে খুশি অভিনেতাও। তবে পর্দায় ‘মহারাজ’-এর চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে খানিক নার্ভাস রাজকুমার।

সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সৌরভের চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি কনফার্ম করেছেন অভিনেতা। রাজকুমার বলেন, ‘আমি আসলে সত্যিই খুব নার্ভাস। এটা একটা গুরুদায়িত্ব বলা চলে। তবে হ্যাঁ, আমি কাজটার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। সবাই এই বায়োপিক দেখার জন্য মুখিয়ে। এত বড় মাপের একজন মানুষের চরিত্রের জন্য আমায় ভাবা হয়েছে যে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।’

জানা গেছে, সৌরভের চরিত্রের জন্য বাংলা ভাষা শেখার প্রতি জোর দিয়েছেন। স্ত্রী পত্রলেখার কাছ থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা উচ্চারণ রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সৌরভের ক্রিকেট জীবন থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে পড়াশোনাও করছেন অভিনেতা। ‘মহারাজ’কে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-সহ বেশ কিছু বিষয়েও প্রশিক্ষণ নিতে হবে তাকে। সব মিলিয়ে খানিক দুশ্চিন্তায় রাজকুমার।

সৌরভের চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন, সে কথা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন অভিনেতা। তবে গোটা জার্নিটা ভীষণভাবে উপভোগ করবেন বলেও আশাবাদী রাজকুমার রাও। মুক্তির তারিখ ঠিক না হলেও সৌরভ ও রাজকুমার দুই তারকার ভক্তরাই মুখিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।

এটি পরিচালনা করবেন বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানি। প্রযোজনা করছেন লাভ রঞ্জন। সূত্র: আনন্দবাজার ও এই সময়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধ কারখানার মালিকেরা টাকা নিয়ে বিদেশে চলে গেছেন: উপদেষ্টা

শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার মালিকদের যদি অর্থের হিসাব নেয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যাংক হিসাবে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত টাকা পাওয়া যাবে। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া পোশাক কারখানার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘যে সমস্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হওয়ার মতোই ছিল। মালিকেরা ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়েছেন কিন্তু শ্রমিকদের বেতন দেননি। এ সকল কারখানার মালিকদের ব্যাংকে অন্তত দুইশত থেকে তিনশত কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’’

আরো পড়ুন:

বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘মালিকেরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন কিন্তু টাকা ফেরত দেননি। অথচ তারা কারখানা চালাতে পারছেন না। টাকা নিয়ে বেশিরভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছেন।’’ 

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘একটা কোম্পানি পেলাম না, যারা তিনশত কোটি টাকার কম ঋণ খেলাপি আছে। তারপরও ব্যাংক তাদের টাকা দিয়েছে। পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এ রকম হবে।’’ 

রপ্তানি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সব পোশাক কারখানা বন্ধ হলে তো ১৭ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি হতো না। এখন চিটাগাং বন্দর কুলাতে পারছে না।’’ 

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘‘যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কন্ট্রাকে কাজ করাত শ্রমিকদের দিয়ে। তাই খুব জটিলতা নেই। তবে বেকারত্ব বেড়েছে। তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন।’’ 

বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার শ্রমিকেরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে সাময়িক বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ