নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার এনায়েতনগর এলাকা এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম বিজলী আক্তার (৩০)। কুমিল্লার কান্দাইল গ্রামের বাহার মিয়ার মেয়ে। তিনি হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন (৩৫) একই ধরনের কারখানায় কাজ করেন।

নিহতের ছোট বোন বৃষ্টি আক্তার বলেন, প্রায় ৯ মাস আগে বিজলী আক্তার ইমরান হোসেনকে বিয়ে করেন। এটি ছিল বিজলীর দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শনিবার রাতে ইমরানের মুঠোফোন দিয়ে ভাগনের সঙ্গে কথা বলেন বিজলী। মোবাইল ডেটা নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে বিজলীকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইমরান হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি এনায়েতনগরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করেন ইমরান। পরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ইমরান হোসেন বন্দর মডেল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইমর ন হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক হায়াত হত্যার প্রধান আসামি ইস্রাফিল সোনারগাঁয়ে গ্রেপ্তার

বাগেরহাটের সাংবাদিক এস. এম. হায়াত উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইস্রাফিল (৫০) কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদ্যর বাজার এলাকা থেকে র‌্যাব-৬ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১১’র অপস অফিসার গোলাম মোর্শেদ।

র‌্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইস্রাফিল আত্মগোপনে ছিলেন। দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বাগেরহাট পৌরসভার উত্তর হাড়িখালী এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক ভোরের চেতনা-এর স্টাফ রিপোর্টার এস. এম. হায়াত উদ্দিন (৪২)।

হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার দুই দিন পর, নিহত সাংবাদিকের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় মো. ইস্রাফিল মোল্লাসহ ৫–৬ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০–১২ জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে প্রথমে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে ওমর ফারুক ও আশিকুল ইসলাম নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়, যেখানে তারা জানায়— স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি ও ইস্রাফিলের নির্দেশে তারা হত্যায় অংশ নেয়।

এরপর থেকেই প্রধান আসামি ইস্রাফিল পলাতক ছিলেন। বাগেরহাট জেলা পুলিশের অনুরোধে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে এবং অবশেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এর বৈদ্যর বাজার এলাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জ-৩ ও ৪ আসনের যে কোন একটিতে নির্বাচন করবো : অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
  • ২১ নং ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
  • সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি গঠন
  • আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬ জন হাসপাতালে
  • ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও লিফলেট বিতরণ 
  • বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ১ কোটি যুবকের কর্মসংস্থান করবে : সজল
  • কাশিপুরে খাল পরিছন্নতায় নিজেই নেমে পড়লেন যুবদল নেতা রনি
  •  যুবককে গরম পানি ঢেলে দগ্ধের ঘটনায় লিতুন সুকুম গ্রেপ্তার
  • সাংবাদিক হায়াত হত্যার প্রধান আসামি ইস্রাফিল সোনারগাঁয়ে গ্রেপ্তার
  • গাজীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ র‌্যাব