‘ভাই’ সম্মোধন করায় এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবুর বিরুদ্ধে। 

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে মুঠোফোনে নিজের একটি জমির খারিজ সংশোধন সংক্রান্ত তথ্যর খোঁজ নিতে চাইলে সময় টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি বিপ্লব ইসলামের সঙ্গে এ অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী বিপ্লব ইসলাম বলেন, “আমার একটি জমির খারিজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে এসিল্যান্ড জাহাঙ্গীর আলম বাবুর সরকারি নাম্বারে ফোন করি। এসময় তিনি ‘স্যার’ বলে সম্মোধন না করায় ক্ষিপ্ত হন এবং ফোনের সংযোগ কেটে দেন।”

পরবর্তীতে আবারও ফোন দিলে তিনি জানান, এসিল্যান্ডকে কী বলে সম্মোধন করতে হবে তা জেনে যেন ফোন দেওয়া হয়।

এসিল্যান্ডের এমন আচরণের বিষয়ে বিপ্লব ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিলে নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই পোস্টে এসিল্যান্ডের যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন কাজে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানান অনেকেই।

গাইবান্ধা জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, এমন আচরণ একজন রাষ্টের কর্মচারী হয়ে জনগণের সাথে অপ্রত্যাশিত। এটি সরকারি চাকরি বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন। আইনে কোথাও স্যার বলার বিধান নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

জাহাঙ্গীর আলম বাবু রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমি তাকে স্যার বলতে বলিনি। আমি শুধু বলেছি, ভাই না বলে সরাসরি এসিল্যান্ড বা জাহাঙ্গীর সাহেব বলে সম্মোধন করুন।” 

ভাই বললে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এতে আমি বিব্রতবোধ করি।”

ঢাকা/মাসুম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস ল য ন ড ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রারের অসদাচরণ ও শিক্ষককে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমনকি আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গেও একই রকম অসদাচরণ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।”

একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তিনি এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। তিনি যদি ক্ষেপতেই চান, তাহলে মাঠে যাক। স্বৈরাচারের দোসরদের ঠিকানা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।”

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নিতে গেলে অপমানজনক আচরণের শিকার হন। স্বাক্ষর দিতে গড়িমসি, লাঞ্চের অজুহাত দেখিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং দ্রুত চাইলে আরো দেরি হবে বলে মন্তব্য করে শিক্ষককে বারবার হয়রানি করেন রেজিস্ট্রার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপমান করা মানে পুরো শিক্ষার্থী সমাজকেই অসম্মান করা উল্লেখ করে তারা দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমানত রক্ষা করা ইসলামের সামাজিকতার সৌন্দর্য
  • সুনামগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগ চরমে
  • আল-আকসায় ঢুকে প্রার্থনা করলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
  • জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
  • দুর্ঘটনা-দুর্যোগের পর শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কী করা উচিত
  • ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আবার নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে