গাজায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২৮ শিশু
Published: 5th, August 2025 GMT
ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ২৮ জন শিশু মারা যাচ্ছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এক্স-এ এক পোস্টে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলেছে, “বোমাবর্ষণে মৃত্যু। অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু। সাহায্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার অভাবে মৃত্যু। গাজায় প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন শিশু - একটি শ্রেণীকক্ষের আকার - নিহত হয়েছে।”
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, গাজার শিশুদের খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ এবং সুরক্ষার জরুরি প্রয়োজন। ‘সবচেয়ে বড় কথা, তাদের এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’
গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। গড় হিসেবে প্রতি ঘন্টায় একজন শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় এক শিশুসহ অন্তত আটজন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন। ইসরায়েল ত্রাণ আটকে রাখা এবং ত্রাণপ্রার্থীদের হত্যা করা অব্যাহত রাখায় ৯৪ জন অনাহারে শিশুসহ মোট ১৮৮ জন মারা গেছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেনের আঞ্চলিক পরিচালক আহমেদ আলহেন্দাউই আল জাজিরাকে বলেন, “গাজা আজ শিশুদের এবং তাদের স্বপ্নের জন্য একটি কবরস্থান। এটি গাজার প্রতিটি শিশুর জন্য একটি অনিবার্য জীবন্ত দুঃস্বপ্ন.
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা
ঝিনাইদহে এলজিইডি কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন শামিম হোসেন মোল্লা নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা। বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ব্যক্তির প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
শামিম হোসেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এলজিইডি কার্যালয়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন।
শামিম হোসেন মোল্লার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লা উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন মোল্লা এলজিইডির ঠিকাদার। তাঁর কয়েক বছর আগে শেষ করা কাজের বিল পাওনা রয়েছে। সেই বিল নিতে তিনি বুধবার দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছিলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা সেখানে আসেন। পরে ১০-১৫ জন জড়ো হয়ে শামিম হোসেনকে মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে শামিম হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর থানার পুলিশের হেফাজতে আছেন। ওসি জানান, তাঁর নামে সদর থানায় কোনো মামলা নেই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু হুরায়রা সাংবাদিকদের বলেন, শামিম মোল্লা শৈলকুপায় ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে অনেক মিছিল–মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজে নিয়ে কাজ করতেন। তিনি অন্য কাউকে কাজ করতে দিতেন না। আজ দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে দেখা যায়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা তাঁকে মারধর করে। শৈলকুপার কিছু লোক আগের ক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।