নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব জগদীশপুর এলাকায় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে ডুবে গেছে। এ সময় মাইক্রোবাসটির সাতজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফয়জুন নেসা (৮০), খুরশিদা বেগম (৫৫), কবিতা বেগম (৩০), লাবনী বেগম (৩০), রেশমি আক্তার (১০), মীম আক্তার (২) ও লামিয়া আক্তার (৯)। তাঁরা লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার হাজীরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপালী এলাকার বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের চৌমুহনী স্টেশনের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিতে এক প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। ওমানফেরত ওই প্রবাসীকে নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ ১১ জন ছিলেন। এর মধ্যে দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৪ জন বের হয়ে যান। অন্য ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের পেছনের সিটগুলোতে ছিলেন।

মাইক্রোবাসের চালক ঘুমে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক। নিহত ব্যক্তিদের লাশ চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রাতভর ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন হামলা

রাশিয়া শুক্রবার রাতে ইউক্রেনে বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক অবকাঠামো ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া আক্রমণের পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের উপায় খুঁজে বের করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লড়াই তীব্র হয়েছে।

টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো, বেসামরিক উৎপাদনকারী কোম্পানি এবং আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে প্রায় ৫৮০টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৫৫২টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

জেলেনস্কি বলেছেন, “সারা রাত ইউক্রেন রাশিয়ার একটি বিশাল আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এই ধরনের প্রতিটি হামলা সামরিক প্রয়োজন নয় বরং বেসামরিক নাগরিকদের আতঙ্কিত করার এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ার একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল।”

তবে রাশিয়া ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ