চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির অন্তত ২৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার বাইপাস কচুয়াই রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শাহরিয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০–৩৫ শিক্ষার্থী নিয়ে তাঁদের নিজস্ব বাসটি ক্যাম্পাসে আসার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। বাস দুটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে দুটি বাসের চালক পলাতক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা

ঝিনাইদহে এলজিইডি কার্যালয়ের ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন শামিম হোসেন মোল্লা নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা। বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ব্যক্তির প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।
শামিম হোসেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এলজিইডি কার্যালয়ে আটকে রাখার খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন।

শামিম হোসেন মোল্লার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লা উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন মোল্লা এলজিইডির ঠিকাদার। তাঁর কয়েক বছর আগে শেষ করা কাজের বিল পাওনা রয়েছে। সেই বিল নিতে তিনি বুধবার দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে এসেছিলেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা সেখানে আসেন। পরে ১০-১৫ জন জড়ো হয়ে শামিম হোসেনকে মারধর ও তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে শামিম হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর থানার পুলিশের হেফাজতে আছেন। ওসি জানান, তাঁর নামে সদর থানায় কোনো মামলা নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু হুরায়রা সাংবাদিকদের বলেন, শামিম মোল্লা শৈলকুপায় ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে অনেক মিছিল–মিটিং করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাটিয়ে নিজে নিয়ে কাজ করতেন। তিনি অন্য কাউকে কাজ করতে দিতেন না। আজ দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে দেখা যায়। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে জনতা তাঁকে মারধর করে। শৈলকুপার কিছু লোক আগের ক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ