আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই মাহবুব তার স্বামী আবু সালেহ মুসার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং জোর করে দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

সানাই মাহবুবের আইনজীবী মিঠুন সাহা বলেন, “২২ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই মাহবুব আদালতে মামলা করেছেন। টাকার জন্য তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।” 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ মে আবু সালেহ মুসাকে বিয়ে করেন সানাই। বিয়ের সময় সানাই মাহবুবের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ দেয়া হয়; যা আসামির বাসায় রয়েছে। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করবে জানিয়ে সানাই মাহবুবকে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে দিতে বলেন আবু সালেহ মুসা। সানাই মাহবুব নিজের জমানো ১২ লাখ এবং বাবার কাছ থেকে ৭ লাখ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা এনে দেন। কিন্তু আবু সালেহ মুসা ওই টাকা নষ্ট করে ফেলেন। 

আরো পড়ুন:

ডিপজলের জমি দখলের অভিযোগ

বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মুখ খুললেন শ্রাবন্তীর প্রাক্তন স্বামী

ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধের জন্য স্ত্রীকে দেহব্যবসায় নামানোর জোর চেষ্টা করেন আবু সালেহ মুসা। পুনরায় আবু সালেহ মুসা সানাই মাহবুবের কাছে ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তবে তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসামি। 

অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দাবি করা ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করবে না মর্মে জানান। মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকিও দেন আসামি। 

সানাই মাহবুবের পরিবার তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন এবং সশরীরে এসে কথা বলার জন্য বলেন। গত ১২ মে আবু সালেহ মুসা সানাই মাহবুবের আফতাবনগরের বাসায় যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে পুনরায় ২২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। তবে সানাইয়ের পরিবার যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ কথা শুনে আবু সালেহ মুসা ক্ষিপ্ত হয়ে সংসার করবে না জানিয়ে দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। অন্যত্র বিয়ে করারও হুমকি দেন। 

সানাই মাহবুব যৌতুকবিহীন সংসার করার জন্য একাধিকবার পারিবারিক ও সামাজিকভাবে চেষ্টা করেছেন মর্মে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন। সংসার করার জন্য সানাই মাহবুব গত ৭ ও ২২ জুলাই আবু সালেহ মুসাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। আবু সালেহ মুসা ৭ জুলাইয়ের লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করে ১৭ জুলাই অসন্তোষ, মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর জবাব দেন। 

৩১ জুলাই আবু সালেহ মুসা সানাই মাহবুবের আফতাবনগরের বাসায় গিয়ে বলে, “তুই শতবার সংসার করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও আমি লিগ্যাল নোটিশ আর গ্রহণ করব না এবং যৌতুকবাবদ আমার দাবিকৃত ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করব না।”  

মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন সানাই মাহবুব। বেশ কয়েকটি গানের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন তিনি। ‘ময়নার ইতিকথা’, দেওয়ান নাজমুলের ‘শালবনের মহুয়া’ চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ করেছেন। কিন্তু তার কোনো সিনেমা এখনো মুক্তি পায়নি। 

বেশ আগে শোবিজের রঙিন দুনিয়াকে বিদায় জানান আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। তারপর ধর্মে মনোযোগী হন। ২০২২ সালের ২৭ মে আবু সালেহ মুসার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সানাই মাহবুব। কিন্তু বিয়ের এক বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স ন ই ম হব ব র ২২ ল খ ট ক স স র কর র পর ব র র জন য কর ছ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে সম্প্রতি মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের হার বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপসাগরীয় দেশটিতে এক দিনে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) বলেছে, গত শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাজরান এলাকায় সোমালিয়ার চারজন ও ইথিওপিয়ার তিনজন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সৌদিতে হাশিশ (গাঁজার মতো একধরনের মাদকদ্রব্য) চোরাচালানের অভিযোগ ছিল।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া অন্য ব্যক্তি হলেন সৌদি আরবের নাগরিক। মাকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ ছিল।

এই হারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে থাকলে চলতি বছর দেশটিতে ২০২৪ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর দেশটিতে ৩৩৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধের’ কারণেই মূলত সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে। এ অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল, এখন বিচারপ্রক্রিয়া শেষে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।

প্রায় তিন বছর বন্ধ রাখার পর ২০২২ সালের শেষ দিক থেকে মাদক–সংক্রান্ত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আবার শুরু করে সৌদি আরব।

সৌদি আরবে ২০২২ সালে মাদক-সম্পর্কিত অপরাধে ১৯ জন, ২০২৩ সালে ২ জন এবং ২০২৪ সালে ১১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ধারাবাহিকতা সৌদি আরবের ‘উন্মুক্ত ও সহনশীল সমাজ’ গঠনের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করছে। অথচ এটাই ছিল যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ সংস্কার কর্মসূচির মূল ভিত্তি।

তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, জনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মৃত্যুদণ্ড অপরিহার্য এবং সব ধরনের আপিলপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই এই ধরনের সাজা কার্যকর করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তি শুরু কাল থেকে
  • রাশিয়ার ওপর পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করছেন ট্রাম্প, কী প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে
  • মাদক–বিতর্ক পেছনে ফেলে ফিরছেন লোহান
  • সৌদি আরবে এক দিনে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর