২২ বছর আগে দেওয়া মেসির সেই সাক্ষাৎকার, কী বলেছিলেন
Published: 11th, August 2025 GMT
বার্সেলোনা ওয়েবসাইট
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বার্সেলোনার হয়ে মারামারিতে ম্যারাডোনার ছিঁড়ে যাওয়া সেই জার্সি এবার নিলামে উঠবে
গত কয়েক বছরে ফুটবল জগতের আইকনিক জার্সি, বুট ও বলগুলোর নিলাম অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিয়েগো ম্যারাডোনার ব্যবহার করা জার্সি। ২০২২ সালে ৭৭ কোটি টাকায় বিক্রি হয় ম্যারাডোনার পরা আর্জেন্টিনার নীল রঙের জার্সি, যেটি পরে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি গোল করেছিলেন কিংবদন্তি।
এবার নিলামে উঠেছে তাঁর আরও একটি বিশেষ জার্সি। যেটি ম্যারাডোনা পরেছিলেন ১৯৮৪ সালের বিখ্যাত কোপা দেল রে ফাইনালে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বার্সেলোনা ও অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের খেলোয়াড়দের মধ্যকার মারামারির কারণে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে।
১৯৮৪ সালের কোপা দেল রে ফাইনালে বার্সেলোনা খেলেছে কোচ সিজার লুইস মেনোত্তির অধীনে। আর অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের ডাগআউটে ছিলেন হাভিয়ের ক্লেমেন্তে। খেলার ধরনের ভিন্নতা এবং পূর্বের দ্বন্দ্বের কারণে এই ম্যাচের আগেই দুই দলের লড়াই ঝাঁজ ছড়ায়। এর মধ্যে বার্সেলোনা দলে ম্যারাডোনার উপস্থিতি লড়াইয়ের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।
সেই ফাইনালের এক বছর আগে, ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিলবাওয়ের সাবেক খেলোয়াড় আন্দোনি গোইকোচিয়ার আঘাতে ম্যারাডোনার বাঁ পা ভেঙে যায়। এই আঘাত দুই দলের একে–অপরের প্রতি বিদ্বেষকে আরও তীব্র করে তোলে। সব মিলিয়ে ফাইনালের আগে থেকেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর পরিবেশ হয়ে উঠেছিল চরম উত্তেজনাপূর্ণ এবং নাটকীয়।
আরও পড়ুনসর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ম্যারাডোনার জার্সি বিক্রি ৭৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায়০৪ মে ২০২২প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সে ম্যাচে বিলবাও ১-০ গোলে জিতলেও খেলা শেষে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। প্রায় সব খেলোয়াড়ই এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘুষি, লাথি, ধাক্কা—কোনোটাই বাদ ছিল না! ম্যারাডোনা নিজেও সংঘর্ষে জড়ান। প্রতিপক্ষকে তাঁর লাথি মারার দৃশ্য ফুটবল ইতিহাসের স্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটি হয়ে আছে। এমনকি আজও ম্যারাডোনার লাথি মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়। সেদিন ম্যারাডোনার পরে থাকা জার্সিটিই এবার নিলামে উঠতে যাচ্ছে।
নাপোলিতে যোগ দেওয়ার আগে সেটিই ছিল বার্সেলোনার হয়ে ম্যারাডোনার শেষ ম্যাচ। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’ জানিয়েছে, সেই ম্যাচ শেষে ম্যারাডোনার জার্সিটি সংরক্ষণ করা হয় ক্লাবের লকার রুমে। মারামারির কারণে জার্সিটির বুকের দিকে কিছু অংশ ছিঁড়ে গিয়েছিল। ক্লাবের জার্সি সামলানো এক মহিলা সেই জার্সির ছেঁড়া অংশ মেরামত না করে যুদ্ধের স্মারক হিসেবে সেভাবেই রেখে দেন। পরে জার্সিটি সেই মহিলার পুত্রের হাতে চলে আসে।
ম্যারাডোনার সেই ছেঁড়া জার্সি