মুক্তিযুদ্ধটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল
Published: 10th, November 2025 GMT
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৭১ হয়নি, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য কোনো অবদানই রাখি নাই। চব্বিশ যারা করেছে, তারাই সব করেছে, এমন ধারণা এখন মিলছে। ঠিক না?’
একাত্তরকে ভুলে যাওয়া যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একাত্তরকে কি আমরা ভুলতে পারব? একাত্তর না হলে কি বাংলাদেশ হতো? এ কথাটা আমরা কখনো ভুলব না। উই ক্যান নট ফরগেট সেভেনটি ওয়ান। একাত্তরে হাজার হাজার ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। একাত্তরে আমাদের মা-বোনকে অত্যাচার নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এই কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না। দীর্ঘ ৯ মাস আমরা শুধুই যুদ্ধ করেছি। পরিবারেরও কেউ খোঁজ নিইনি কে কোথায় আছে। এই দিনগুলির কথা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলে কি ভোলা যায়? আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ওই একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল খান বাহিনীর হাতে, তাদের সঙ্গে দেশের মানুষ কি আপস করতে পারে? এই কথাগুলো জোর গলায় বলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জে উঠতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে আনার পরামর্শ দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি এ কথাগুলো বলতে চাইনি, তারপরও বলতে হচ্ছে। কারণ, এরা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে। গ্রাস করার চেষ্টা করছে। আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে তারা ওই কাজগুলো করছে। আমরা এটা হতে দিতে পারি না। আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, সেই চেতনাকে সামনে আনতে হবে।’
হিন্দু-মুসলমান বিভেদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবেন না। হিন্দু-মুসলমান ভাগ করতে দিবেন না। আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। একসঙ্গে আছি, যুদ্ধও করেছি একসঙ্গে। তাঁদের যেন কেউ ভাগ করতে না পারে।’
নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ, এ দেশের সর্বনাশ হওয়া। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার কালবিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবে, একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে।’
এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও সদস্যসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম সলম ন ব এনপ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনের পশুর নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। নিখোঁজের দুদিন পর সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন: সুন্দরবনের নদীতে ট্রলার উল্টে পর্যটক নিখোঁজ
আরো পড়ুন:
সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
রিয়ানা আবজাল রাজধানীর উত্তরা এলাকার আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি পেশায় পাইলট ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
গত শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী ও পশুর নদীর মোহনায় পর্যটকবাহী একটি ট্রলার উল্টে গেলে রিয়ানা আবজাল নিখোঁজ হন।
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ