ভারতের রাজধানী দিল্লির অদূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে বিপুল বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে এই বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, নাশকতামূলক কাজের জন্য এই বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ জড়ো করা হয়েছিল।

উদ্ধার করা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১৪টি থলেবোঝাই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট যার পরিমাণ ১০০ কেজির বেশি, একটি একে ৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, ৮৪টি কার্তুজ, ৫ লিটার রাসায়নিক, টাইমার ও অন্যান্য পদার্থ, যা দিয়ে অন্তত ৩৫০ কেজি আইইডি বিস্ফোরক তৈরি করা যায়।

ফরিদাবাদের পুলিশ কমিশনার সত্যেন্দ্র গুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফরিদাবাদ পুলিশ এই অভিযান চালিয়েছে। সোমবার তাঁদের পক্ষ থেকে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। কোথায় নাশকতার ছক করা হচ্ছিল, কাশ্মীর না অন্যত্র, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, এই বিপুল বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এক ডাক্তারের বাড়ি থেকে।

সেই ডাক্তারের নাম মুজাহিল শাকিল। তিনি জম্মু–কাশ্মীরের বাসিন্দা, যদিও ডাক্তারি পাস করেছেন ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ স্কুল অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার থেকে। ফরিদাবাদের ধাউজ গ্রামে তিন মাস আগে তিনি এক বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই যাবতীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

ডা.

শাকিলকে গত ৩০ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গ্রেপ্তার করা হয় আর এক কাশ্মীরি ডাক্তার আদিল আহমদ রাঠেরকে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচার করার অভিযোগ আছে। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ডা. শাকিলকে নিয়ে জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ আসে ফরিদাবাদে। পুলিশ কমিশনার সত্যেন্দ্র গুপ্তা জানান, উদ্ধার করা সামগ্রী আরডিএক্স নয়। আগে যদিও তেমনটাই সন্দেহ করা হয়েছিল।

প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ, দুজনেই এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। উত্তর ভারতের কোনো এক স্থানে নাশকতার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। তাঁরা সেই চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত। সেই জন্য এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক জড়ো করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা সামগ্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে।

নাশকতার এই ছক কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন করছিল, সেই সংগঠনের ‘স্লিপার সেল’ জম্মু–কাশ্মীরসহ আর কোথায় সক্রিয়, আরও কে কে এর সঙ্গে জড়িত, বিস্ফোরক তৈরির এত সামগ্রীই–বা কীভাবে দিল্লির অদূরে জড়ো করা হলো, সবকিছু তদন্ত করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগের খবর ইদানীং পাওয়া যায়নি। পুলওয়ামা–কাণ্ডের পর কাশ্মীরি যোগাযোগের মাধ্যমে এত বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনাও এই প্রথম।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প ল ব স ফ রক ফর দ ব দ স মগ র ন শকত তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

সুন্দরবনের পশুর নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী পর্যটক রিয়ানা আবজালের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। নিখোঁজের দুদিন পর সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে মোংলার সাইলো জেটি সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

আরো পড়ুন: সুন্দরবনের নদীতে ট্রলার উল্টে পর্যটক নিখোঁজ 

আরো পড়ুন:

সুন্দরবনে রাসপূজায় যেতে বন বিভাগের ৫ রুট, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর

কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ চাঁদপাই নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

রিয়ানা আবজাল রাজধানীর উত্তরা এলাকার আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। তিনি পেশায় পাইলট ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।

গত শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী ও পশুর নদীর মোহনায় পর্যটকবাহী একটি ট্রলার উল্টে গেলে রিয়ানা আবজাল নিখোঁজ হন। 

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ