প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ভূমিকম্পের মতো অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে, তাই আতঙ্ক নয় বরং সতর্কতা ও প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের বাগবাড়ি চৌবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্লে গ্রাউন্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, যা বিদ্যালয় পরিচালনায় বড় বাধা। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে  পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। মামলা নিষ্পত্তি হলেই ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এরপর যেসব পদ শূন্য হবে, সেগুলোতে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’’

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, ‘‘শিক্ষক সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে বড় আকারে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও গতিশীল হবে।’’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

ঢাকা/কাওছার//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ফের রেল অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ফের রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে ২ ঘণ্টা ধরে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

অবরোধকালে ‘এক দুই তিন চার, পিএসসি স্বৈরাচার’, ‘সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেন ২ মাস’, ‘সময় চাই সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই’, ‘আমার ভাই অনশনে, পিসএসসি কী করে’, ‘আমার ভাই অনশনে, মাহফুজ কী করে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ছাত্রসমাজের অ্যাকশন’, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আবু সাইদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এসব স্লোগান দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেছেন, আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ করেছি। গতকাল পিএসসির সিদ্ধান্ত জানানোর কথা। তবে, আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানতে পারেনি। আমরা পিএসএসিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা একটি যৌক্তিক সময় চাচ্ছি, যাতে আমরা যথাযথ প্রিপারেশন নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো পজিটিভ সিদ্ধান্ত না পাচ্ছি, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন করব।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা যাত্রীদের ভোগান্তি দিতে চাই না। আমরা এর আগে পিএসসির সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। পিএসসির চেয়ারম্যান আমাদের সাথে দেখা করেননি। তারা যদি আমাদের সাথে দেখা না করে, তাহলে কাদের সাথে করবে? গতকাল যখন আমরা আন্দোলন করছিলাম, তখন রেলওয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছে যে, রাত ৯টার মধ্য আমাদের জন্য পজিটিভ সিদ্ধান্ত আসবে। যদি না আসে তাহলে আমরা যেন আবারও রেল অবরোধ করি। ওনার কথার ভিত্তিতে মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা গতকাল আন্দোলন প্রত্যাহার করি। কিন্তু, আমরা সকাল পর্যন্ত কোনো পজিটিভ আশ্বাস পাইনি।  তাই, আমরা বাধ্য হয়ে আবারও রেললাইন অবরোধ করি।

গতকাল দুপুর ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা রাজশাহীর সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

ঢাকা/ফাহিম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ