ঘাটতির জায়গা স্পষ্ট দেখালেন ক্যালি
Published: 12th, August 2025 GMT
সচরাচর এমন করে কেউ বলে না। নাথান ক্যালি শুধু বললেনই না, সাহস দেখালেন। স্পষ্ট করে বললেন, দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ঘাটতির বড় কারণ ভালোমানের ট্রেনারের অভাব।
বাংলাদেশের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান ক্যালি ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশে যুক্ত। জাতীয় দলের সঙ্গেই কেবল কাজ করছেন। তবে স্থানীয় ট্রেনারদের নিয়ে তার সুস্পষ্ট ধারনা হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
ক্রিকেটারদের যারা ট্রেনিং করাবেন, আন্তর্জাতিক মানের করে তুলবেন তাদের সংখ্যাটা খুব বেশি নয়। ফলে উঠতি ক্রিকেটার, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটার এবং বয়সভিত্তিক দলের ক্রিকেটারদের গড়ে উঠার পথটা মসৃণ নয় তা আঙুল তুলে দেখালেন অস্ট্রেলিয়ান এই ট্রেনার।
আরো পড়ুন:
ক্রিকেটের উন্নতির দিকেই নয়, ভালো ক্রীড়াবিদ হওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ
‘হাজার কোটি টাকা থাকলে বিপিএলে আসা উচিত’
মিরপুরে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ক্যালি বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে আমাদের অ্যাথলেটিসিজম উন্নতি করার পথে মূল চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে… আমার মনে হয়, এখন আমাদের সম্ভবত তিনজন খুব উঁচু মানের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ আছেন, যারা বিসিবির চাকরিতে আছেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো এমন ট্রেনারের সংখ্যা ২০-৩০ জন।”
সার্বিক উন্নতির জন্য ট্রেনারদের তাড়না, অধ্যবসায়ের ঘাটতি দেখেন না তিনি। তবে দেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতি, প্রক্রিয়া, এগিয়ে যাওয়ার ধরন নিয়ে তার মনেও প্রশ্ন আছে। তবে দিনকে দিন উন্নতি হচ্ছে সেই আশাও দেখালেন তিনি—
“আমাদের এখানে স্থানীয় অনেক ট্রেনার আছেন, যাদের তাড়না অনেক ও কঠোর পরিশ্রম করছে। আমার বড় দায়িত্ব হলো তাদের স্কিল গড়ে তোলায় সহায়তা করা। তবে দিনশেষে, এটা তো গোটা সিস্টেমের ব্যাপার। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের ট্রেনাররা এমনিতে ভালো কাজ করেন। কিন্তু এটা প্রতিনিয়ত উন্নতির ব্যাপার, সেটা শুধু ক্রিকেটারদের নয়, গোটা ক্রিকেট সিস্টেমেরই। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বছরজুড়ে কঠোর পরিশ্রম করা ও শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখা নিশ্চিত করতে একটি সিস্টেম গড়ে তোলার পথে আমার মনে হয় আমরা বেশ উন্নতি করেছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ