বুয়েটের সনি হত্যায় সাজাভোগের পর মুশফিক অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত হন: র্যাব
Published: 19th, September 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজাভোগ করার পর মুশফিক উদ্দিন টগর (৫০) অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত হন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে মুশফিককে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১টি রিভলবার, ১৫৬টি গুলি, একটি গুলির খোসা, দুটি মুখোশ, দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, মুশফিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি। তিনি সীমান্ত থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে ঢাকায় বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর মুগদা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। দরপত্র নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুনকেটেছে ২২ বছর, বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যার প্রধান দুই আসামি এখনো পলাতক০৮ জুন ২০২৪বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়।
আরও পড়ুনবুয়েটের আলোচিত সনি হত্যা মামলার আসামি মুশফিক গ্রেপ্তার: র্যাব১২ ঘণ্টা আগেঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মুশফিকসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত। মুশফিক উদ্দিন কারাভোগের পর ২০২২ সালে মুক্ত হন।
আরও পড়ুননিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির বাবার মৃত্যু১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি, টেকনাফে পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যা
কক্সবাজারের টেকনাফে মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও পূর্ব বিরোধের জেরে ইমদাদ হোসেন (৪৭) নামে এক পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদ একই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানকে কেন্দ্র করে ইমদাদ হোসেনের সঙ্গে আব্দুর রহমান নামের একজনের কথা-কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ইমদাদকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা কামাল হোসেন নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’’
নিহতের ছোট ভাই শামসু আলম অভিযোগ করে বলেন, “মদপান নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও পূর্ব বিরোধের জেরে জালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন ও নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে আব্দুর রহমান, মো. ইসমাইল, মো. শফিক, মো. হামিদ, সৈয়দ আলমসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার ভাইকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ আলভী বলেন, ‘‘ভোর ৫টার দিকে ইমদাদ হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব