ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবার সঙ্গে অশালীন আচরণ, ভিডিও ভাইরাল
Published: 20th, September 2025 GMT
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে- চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার এক শিশুর বাবা-স্বজনের সঙ্গে ওই চিকিৎসকের কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক এবং হুমকিমূলক আচরণ ও কটুক্তি।
ভিডিওটিতে ডাক্তার আক্রমণাত্মক ভাষায় বলছেন, ‘‘এই ব্যাটা থানা যায় পড়ে রহিবো। বুঝিন নাই। কাগজ খান নিয়ে থানা যায় পরে রহিস। কি বালটা করিব করিস। হাসপাতালটা তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছো। চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবা। বেলেট কিনে নিয়ে যায় বাল কামাবা। মান সম্মান তোমাদের কিছু নাই রে! একবারে নাক ফাটায় দিবো। থতমা উড়াই দেবো। নিজে মারামারি করার চিকিৎসাও করো। মুই মাইরা দিবা পারো। একদম থতমা উল্টায় দিম।’’
ভিডিওটি ভাইরালের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকে এ ধরনের আচরণে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মোজাম্মেল হক নাহিদ নামে একজন লিখেছেন, “মেডিকেল সাইন্সের সব থেকে বড় বিদ্যা হলো কাউন্সিল, রোগীর এবং রোগীর স্বজনদের সাথে ভাল ব্যাবহার, প্রপার কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রায় ৭০-৭৫% পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট করা যায়। একজন BCS সিনিয়র চিকিৎসক হয় পেশেন্টের সাথে মোটেও এই ধরনের লেংগুয়েজ এ কথা বলা উচিত হয়নি। আপনার মতন এমন গুটি কয়েকজন এর জন্য আমাদের গোটা চিকিৎসক সমাজ এর উপর ব্লেইম উঠে। সংশোধন হউন, সন্মান এমনি ই আসবে।”
রাজাবুল ইসলাম রাজা লিখেছেন, “এই ডাক্তারের ভাষা খুবই নগ্ন। আমি একজন উপ সহকারী কৃষি অফিসার পরিচয় দেওয়ার পরেও আমার সাথে উনি একটা সময় খুব খারাপ ব্যবহার করছেন। একটা ডাক্তারের এরকম মুখের ভাষা থাকতে পারে না।”
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন- বাপার পঞ্চগড়ের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, “একজন চিকিৎসকের মূল দায়িত্ব হলো রোগীর সেবা করা। কিন্তু তার ভাষা, জ্ঞান এবং আচরণ সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একজন ডাক্তারের জন্য ধৈর্য একটি বড় গুণ। যেমন শিক্ষকের মধ্যে কিছু গুণ থাকা উচিত, তেমনি চিকিৎসকেরও রোগীর প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতিশীল ব্যবহার থাকা আবশ্যক। তাই তার ব্যবহৃত ভাষা কোনোভাবেই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”
এদিকে, চিকিৎসকের বিতর্কিত ভিডিওটি নজরে পড়েছে জাতীয় নাগরিক পার্ট- এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের।
তিনি পঞ্চগড়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে লিখেছেন, ‘‘পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে একজন ডাক্তার একজন রোগী কিংবা তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন এবং যে আচরণ করেছেন সেটা সুস্থ মস্তিষ্কের কোন ডাক্তার সভ্য সমাজে করতে পারেন না। জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ডা.
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “ভিডিওটি আমার নজরে আসার পরপরই ওই চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/নাঈম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ ক ৎসক র ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
এক যে আছে মন
প্রথম আলো আমার কেউ না। এ কথা ভেবে একবার মনে হয়, ঠিক বলেছি। পরক্ষণেই মনে হয়ে যায়, ঠিক বলিনি। এই ঠিক–বেঠিকের যুক্তিতর্কের ফাঁকে স্মৃতির ঘোড়া দৌড়ে বেরিয়ে যায়।
স্বাধীনতার পর মুখপাত্র আর স্পোকসম্যান নামে দুটো পত্রিকা প্রকাশিত হতো। সম্ভবত সে দুটো সাপ্তাহিক ছিল। তখন আর্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমি। তখন খুব শখ হয়, পত্রিকায় কার্টুন আঁকব। কার্টুন এঁকে এ পত্রিকা–সে পত্রিকায় ঘোরাঘুরি করি। ছোকরা কার্টুনিস্টের কার্টুন কেউ ছাপে না। একদিন মুখপাত্র আর স্পোকসম্যান সামনের পৃষ্ঠায় সে কার্টুন ছেপে দেয়। মানুষের জীবনে এই রকম ভূমিকায় মানুষ বা মানুষের কর্ম বিশেষ হয়ে ওঠে। চিরদিন মনে রাখার মতো এ রকম অসংখ্য বিষয় জীবনে আনন্দের ও অশেষ হয়ে থাকে।
তখন দেশে চারটি দৈনিক খুবই বিখ্যাত ছিল। ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, পূর্বদেশ ও সংবাদ। ইত্তেফাক–এর সামনের পাতায় একদিন দেখি আমার আঁকা কার্টুন ছাপা হয়েছে। পূর্বদেশ–এ রেখে আসা কিছু কার্টুন এক এক করে ছাপা হতে শুরু হয়।
দৈনিক বাংলায় শেষের পাতায় আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রফিকুন নবীর আঁকা ছবি দিয়ে ধারাবাহিক কার্টুন গল্প ছাপা হতো। সে গল্পের নাম ছিল ‘ফাঁদ’। গল্প লিখতেন ‘শাচৌ’ নামের আড়ালে বিখ্যাত শাহাদত চৌধুরী। তখন আমার বয়স কম, সাহস বেশি। পূর্বদেশ–এ গিয়ে প্রস্তাব দিই, চাইলে তারা ওই রকম একটা ধারাবাহিক কার্টুন গল্প চালু করতে পারে। খুব না ভেবে একজন ছোকরা আর্টিস্টের সেই প্রস্তাবে পূর্বদেশ রাজি হয়ে যায়।
আরও পড়ুনপ্রথম আলো সময় ও সমাজের দায় কতটুকু পূরণ করতে পারল০৬ নভেম্বর ২০২৪এসব না–ভোলার মতো স্মৃতি, অনুপ্রেরণা। পূর্বদেশ পত্রিকায় ছোটদের সাহিত্য–সংস্কৃতিচর্চার জন্য ‘চাঁদের হাট’ নামে একটা পৃষ্ঠা ছিল। সে পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া গল্প, কবিতা, ছড়ার জন্য ছবি এঁকে দেওয়ার সুযোগ মিলে যায়। আঁকতে আঁকতে একসময় দেখি, সারা বাংলাদেশের লেখালেখি করা তরুণেরা আমাকে বিশেষভাবে চেনে। এসব সুযোগ পাওয়ায় জীবন সমৃদ্ধ হয়েছে। তার জন্য সময়, মানুষের উদারতা, প্রেরণাদায়ক ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাই যথেষ্ট নয়।
অনেক পরে ঘটে আরও একটা বিশেষ ঘটনা। আনন্দপত্র নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা একসময় খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে পরিচয় ছিল না। পরিচয় যেদিন হয়, তিনি চমকে দেওয়ার মতো একটা প্রস্তাব করে বসেন, ঈদসংখ্যার জন্য উপন্যাস লিখে দিতে হবে। পারব কি পারব না—এমন দোদুল্যমানতায় লেখা হয়ে গেল প্রথম উপন্যাস ‘বিরহকাল’। এসব ঘটনা জীবনে এনে দিয়েছে অসাধারণত্বের স্বাদ। জীবন সদা মুখর থেকেছে। অনবরত জোগান দিয়ে গেছে আত্মবিশ্বাস।
কবি সিকদার আমিনুল হকের সম্পাদনায় বিপ্লব নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হবে, আমাকে সে পত্রিকার শিল্প সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জীবনপথে এসব সুযোগকে নতুন মোড় হিসেবে বিবেচনা করি। একেকটা মোড় জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করেছে, জীবনে এনে দিয়েছে নতুন নতুন উপলব্ধি ও গতি। জীবন দৃঢ় হয়েছে আত্মবিশ্বাসে।
মানুষ সচেতনভাবে বা অসচেতনতায় জনমভর বিশেষত্ব খোঁজে। বোধ করি সে সাহস ও বিশ্বাস নিয়েই জন্ম হয় প্রথম আলোর। প্রথম আলো বহু মানুষের কাছে খুব দ্রুতই পছন্দের হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক। বহুল প্রচারিত দৈনিক হয়ে ওঠার সমস্যা রয়েছে। খুবই সাধারণ একজন মানুষ একদিন কোনো কথা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, এ দেশে মানুষ কিংবা বস্তু বিশেষ হয়ে উঠলে দশ দিকে বিপজ্জনক দশটা দরজা খুলে যায়।আজকের কাগজ যখন বের হবে হবে, তখন সে দৈনিক পত্রিকার জন্য একটা বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব আসে। সে প্রস্তাব অবাক হওয়ার মতোই; কারণ, সে সময়টাতে দৈনিক পত্রিকার জন্য বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করার কথা কাউকেও ভাবতে দেখিনি। আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়ার কারণেই সে বিজ্ঞাপনচিত্রের ধারণা চট করে মাথায় এসে যায়।
একজন মানুষকে একটা অন্ধকার ঘরে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে, মানুষটার চোখ–মুখও বাঁধা। নেপথ্য থেকে ভারী কণ্ঠে বলা হয়, হাত বাঁধা নেই, মুখ বাঁধা নেই, আমরা বলতে পারি। সাংবাদিকতায় তরুণ রক্ত প্রবেশ করেছিল বলেই এই বলা ও করতে পারার সাহস, শক্তি মিলেছিল।
জন্ম হলো ভোরের কাগজ–এর। সেখানেও তারুণ্যের উদ্দীপনা। আবার প্রস্তাব আসে, আবারও সুযোগ হলো ভোরের কাগজ–এর জন্য বিজ্ঞাপনচিত্র বানানোর। নতুনেরা নতুনত্ব চায় এবং বুকে বুকে তীব্র সাহস, তাই বিজ্ঞাপনচিত্রের ভাবনা আটকা পড়ল না।
সে বিজ্ঞাপনে দেখানো হবে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ভোরের কাগজ কেন পড়ে—এ প্রশ্নের মুখে পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলতে পারে না কিন্তু সবাই–ই আগ্রহ নিয়ে পত্রিকাটা পড়ে। এমন বিজ্ঞাপন ধারণার কথা আজও কাউকে শোনানো হলে কপালে চট করে ভাঁজ পড়ে যাবে। মন্তব্য করা হবে, যদি পড়ার কোনো কারণ স্পষ্ট করে কেউই না বলতে পারে, সেটা কাগজকে অবশ্যই বিশেষত্বহীন করে দেয়।
আরও পড়ুনস্বাধীন সাংবাদিকতায় অবিচল থাকবে প্রথম আলো০৪ নভেম্বর ২০২৪মানুষ সচেতনভাবে বা অসচেতনতায় জনমভর বিশেষত্ব খোঁজে। বোধ করি সে সাহস ও বিশ্বাস নিয়েই জন্ম হয় প্রথম আলোর। প্রথম আলো বহু মানুষের কাছে খুব দ্রুতই পছন্দের হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক। বহুল প্রচারিত দৈনিক হয়ে ওঠার সমস্যা রয়েছে। খুবই সাধারণ একজন মানুষ একদিন কোনো কথা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, এ দেশে মানুষ কিংবা বস্তু বিশেষ হয়ে উঠলে দশ দিকে বিপজ্জনক দশটা দরজা খুলে যায়।
একদিন এ বিষয় নিয়ে প্রিয় লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, তুমি যা করছ, সেটা নিয়ে যদি কারও মাথাব্যথা না হয়, ধরে নেবে উল্লেখযোগ্য কিছুই হচ্ছে না। যদি দেখো অনেক মন্দ কথা ছোটাছুটি করছে, মন খারাপ না করে বুঝে নিতে হবে, যা করছ, তা বিশেষ কিছু নিশ্চয়ই হচ্ছে।
আরও পড়ুনবাক্স্বাধীনতা, প্রথম আলো ও আমাদের গণতন্ত্র০৪ নভেম্বর ২০২২তিনি হাসতে হাসতে আরও বলেছিলেন, গাছে ফল থাকলেই মানুষ ঢিল ছোড়ে, শূন্য গাছে ছোড়ে না। যদি কাউকে ছুড়তে দেখে, লোকে নিশ্চয়ই তাকে পাগল ভাববে। এই পর্যন্ত বলে তিনি মুচকি হাসেন এবং অদ্ভুত এক প্রশ্ন করেন, তুমি শিঙাড়া পছন্দ করো? মাথা নেড়ে জানাই, করি। তাঁর মুচকি হাসি বড় হয়ে যায়, আমার খুব আজব লাগে, এ রকম একটা সুখাদ্যের আকৃতি এমন বিদঘুটে কেন? তিন শিংঅলা শক্ত শিঙাড়ায় কামড় দিলে ভেতরে দারুণভাবে রান্না করা নরম সবজি আর চমৎকার ঘ্রাণে মন ভরে যায়।
আমি তখনো বুঝতে পারিনি, হঠাৎ শিঙাড়ার গল্প হাজির করলেন কেন। তিনি বললেন, বাঙালি সর্বদা এবং সর্বত্র আলাদা হতে পছন্দ করে। ঘুরিয়ে প্রশংসা করতে ভালোবাসে। এই শিঙাড়া হচ্ছে বহু বাঙালির চরিত্রের প্রতীক। ওপরে তিনটা শিং দেখালেও ভেতরে লুকানো থাকে সুঘ্রাণ, সুস্বাদ।
আরও পড়ুনপ্রথম আলো, সমাজ ও রাজনীতি০৪ নভেম্বর ২০২৩‘যা কিছু ভালো তার সাথে প্রথম আলো’ কথাটা শুনতে খুব ভালো লাগে কিন্তু একেবারে মন্দবিহীন কি হওয়া যায়! কিছু মন্দ থাকতেই হয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য। নির্ভুল, নিখুঁত, নিষ্পাপ, নির্দোষ হলে সেটা দৈনিক পত্রিকার অফিস হয়ে টিকে থাকতে পারত না। জীবিত এবং পবিত্রতম স্থান বিবেচনা করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হওয়ার হুলুস্থুল পড়ে যেত।
সেখানে এখনো কলম চলে। প্রার্থনা বা রহম প্রাপ্তির স্থানে পরিণত হয়নি, দলেবলে মানুষ সেখানে আগরবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা, বিপদ থেকে উদ্ধার কিংবা মানত করার জন্য ভিড় জমায় না। লৌকিক–অলৌকিকের পার্থক্য এইভাবে টিকে থাকে।
অনেক পত্রপত্রিকার সঙ্গে আমার আবেগময় নানাবিধ স্মৃতি রয়েছে। সেসব সৌভাগ্য, অসংখ্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা বলে বিবেচনা করি। মনে করে আজও কৃতজ্ঞ হই, আনন্দিত বোধ করি। অনেক ভেবে দেখি, প্রথম আলোর সঙ্গে তেমন কোনো সম্পর্কের কথা মনে করতে পারি না। পারি না, তবু নিজের এবং কাছের বলে অনুভূত হয়।
প্রথম আলোর সার্থকতা বা শক্তি ‘দূরের নই, কাছের’—এই অনুভব মনে মনে, বহু মনে নিঃশব্দে ছড়াতে পেরেছে।
আফজাল হোসেন অভিনেতা, লেখক, নির্দেশক, চিত্রশিল্পী