নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌর এলাকার দৈলেরবাগ এলাকায় বোনের সাথে সাতার শিখতে গিয়ে পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান রুবাইয়া নামের এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনটার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিলে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার আক্তার হোসেনের মেয়ে ও সোনারগাঁ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। 

জানাগেছে, ইসরাত জাহান রুবাইয়া তার বড় বোন ইভা আক্তারের সঙ্গে বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিলের পানিতে সাঁতার শিখতে যায়। সাঁতার শেখার এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা অনেক খোজাখুজির পর পৌনে চারটার দিকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বোন ইভা আক্তার বলেন, তার বোন সেনাবাহিনীতে যোগদান করার স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন পূরনের জন্য সব দিকে অভিজ্ঞ হতে হয়। তাই সে সাঁতার শেখার জন্য চেষ্টা করছিল। সাঁতার শিখতে গিয়ে সে পানিতে তলিয়ে যায়।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

রাশেদুল হাসান খান বলেন, পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেন নি।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ত র শ খত স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্মৃত প্রতিভা হারানো মনাস্ট্রি

সূর্যাস্তে

তীব্র হতাশার মধ্যেও আমি তোমার ডাক শুনতে পাই
সেই আমার সবচেয়ে বড় সুখ;
আমার কষ্ট আমার উত্তর তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

হয়তো তুমি আমার ভাষা পড়তে পারো না।
হয়তো আমি তোমার ভাষায় উত্তর দিতে পারি না
ব্যাখ্যাবিহীন চিহ্ন, অমূলক কর্তৃত্ব, নির্লজ্জ ক্ষরণ

তবুও তোমার কণ্ঠস্বর আমার কাছে পৌঁছায়
আমি ক্রমাগত উত্তর দিই,
আমার ক্রোধ শীতের মতো ম্লান হয়ে যায়

গ্রীষ্মের সন্ধ্যার বাতাসে
আমার কোমলতা
তোমার উত্তর হয়ে ভাসে

কর্পূর

মেডিসিন ক্যাবিনেটের অস্পষ্ট ঘোলা আয়নার পেছনে ফ্রেম করা মুখ—
বিক্ষিপ্ত মেঘের বাষ্পে

সকালে গোছানো বেগুনি বিছানা
যেখানে উঁচু–নিচু পাহাড়ে বৃক্ষের সমতলে
কোনো বাইসন সারা রাত চরেছে
বিনিদ্র সন্ধ্যা থেকে ভোর;

খোলা পিঠে খসখসে গাল,
এখন শেভিং ফোমের সর্পিল রক্তের ফোঁটায়
গোলাপি প্রবাল দ্বীপ

শীত ঠেলে গাড়িটি বেরিয়ে গেল—
হাতের চিকন ব্লেডে বাষ্প কাটা উন্মুক্ত দরজায়
হিমায়িত কাচের পেছনে বিদায় জানিয়ে

পতিত পাতার স্তূপে চাপা পড়ল যুবক
রয়ে গেল রুপালি তৈজসপত্রে ঠাসা সিনক-বোঝাই
খালি কফি কাপের উপেক্ষা

অপসৃত

শরীর অক্ষত রেখেছে আকৃতি।
তাহলে কি ফিরে যাব?

বাতাসের ধাক্কায় ইউক্যালিপটাসরা এখানে পাথর,
শাখারা মুকুল ঝরিয়ে ক্লান্ত,
এখনো সেই ছত্রাক ছায়ার কান্নায়
সাদা অন্ধকারে নিশ্বাস ফেলছে
ঝুমকোলতায় আলোকিত কপারবাগান

বিস্মৃত প্রতিভা হারানো মনাস্ট্রি

প্রথমজাত

সূর্যের আলোতে মেলে দিয়েছিল তারা—
আমাকে আবার
রোদে শুকাতে আমার আত্মা,

আমার শরীর, হাত,
পায়ের আঙুল
প্রতিস্থাপিত করতে আমার বোধ

আমার দুচোখ ফাঁকা ছিল,
চেয়েছিল কোটরে স্থাপন করতে নতুন দৃষ্টি

পালিয়ে এসেছি আমি
রূপান্তরিত নতুন দেহে
পুরোনো কোকুন

পুবের দেয়াল

উঁকি দেওয়া পাশের বাসার হলুদ বারান্দায়
প্রতিবেশী দাঁড়কাক
রি-ইনফোর্সিং বারে চড়ুইয়ের ঘর
দৃষ্টি এখনো সেই দোতলা বাড়ির ছাদে—

পেছনে পুরো একটা জীবন
সেখান থেকে রাস্তার দুপাশে
নাগরিক কোলাহল
জানালায় প্রেমিকার অপেক্ষা

ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়িয়ে সুদূরে
কাছে আসা দিনের ক্লান্তি

ধীরে ধীরে সূর্যের বিপরীতে দৃশ্যমান স্ট্রাইপড শার্ট
হাতে ব্যাগ, নিষ্পাপ চাহনি
আশ্বস্ত করতে উত্থিত অনুসন্ধানী ভ্রু

যত কাছে আসতে চেয়েছি, তত বেড়েছে দূরত্ব
ভালোবাসাই দূরত্ব যখন:

দূরে গিয়েছি যত
তত ফিরে এসেছি কাছে

অন্য আলো–য় লিখতে পারেন আপনিও। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধসহ আপনার সৃজনশীল, মননশীল যেকোনো ধরনের লেখা পাঠিয়ে দিন। পাঠাতে পারেন প্রকাশিত লেখার ব্যাপারে মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া।
ই–মেইল: [email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ