শেষবারের মতো আসামে ফিরলেন জুবিন
Published: 21st, September 2025 GMT
শনিবার রাত থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন আসামবাসী। শেষবারের মতো ফিরবেন তাঁদের গর্ব জুবিন গার্গ। ভোর থেকেই বিমানবন্দরে ভিড় বাড়তে থাকে। রোববার সকালে গুয়াহাটি লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তাঁর মরদেহ। স্ত্রী গরিমা গার্গ এবং আসাম সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর ফুলে সাজানো অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি গেট দিয়ে।
আসামজুড়ে মানুষ গুয়াহাটিতে ছুটে এসেছেন প্রিয় শিল্পীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫, গৃহহীন লাখো মানুষ
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। দেশটির কর্মকর্তারা এ জানিয়েছেন। এটি চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি।
ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ সেবুর একাধিক শহর পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪৯ জন সেখানকার বাসিন্দা। বুধবার কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিখোঁজ এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি ও কনটেইনার।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রুও আছেন। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য হেলিকপ্টারটিকে পাঠানো হয়েছিল। গত মঙ্গলবার আগুসান দেল সুর এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের একটি ছিল এটি।
ফিলিপাইন বিমানবাহিনী বলেছে, ‘হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।’ পরে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, পাইলটসহ ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুনশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল, ৬৬ জনের মৃত্যু১৫ ঘণ্টা আগেফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির এক মাস আগে টানা দুটি ঝড় ডজনখানেক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে দেশটিতে অতিবৃষ্টি ও নিম্নমানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে ইতিমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।