বৃষ্টির কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি আবারো মাঠে ফিরছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় গড়াবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। সব ম্যাচ হবে সিলেটে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর।

১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল আসরটি। রাজশাহী ও বগুড়ায় চার ম্যাচের তিনটিই পরিত্যক্ত হওয়ার পর স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্টটির দ্বিতীয় আসর।

আরো পড়ুন:

সুপার ফোরে আজ ‘ভারত-পাকিস্তান’ সুপার ক্লাসিকো

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সূচনা

রাজশাহী ও বগুড়ার মাঠগুলোর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় সমস্যা থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বাকি ম্যাচগুলো সেখানে আয়োজন করা হচ্ছে না। প্রথম দুই দিনের ভেসে যাওয়া তিনটি ম্যাচ আর হবে না। ওই ম্যাচগুলোর পয়েন্ট দুই দলের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে। টুর্নামেন্ট আবার শুরু হবে তৃতীয় দিনের সূচি থেকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও আউটার গ্রাউন্ডে হবে ম্যাচগুলো। এলিমিনেটর, দুই কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। লিগ পর্বে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হবে।

মূল স্টেডিয়ামে সকালের ম্যাচ শুরু হবে ১০টায়। আর দুপুরের ম্যাচ শুরুর সময় ২টা। আউটার মাঠের ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট আগে শুরু হবে ম্যাচগুলো।

ঢাকা/ইয়াসিন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিপাইনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫, গৃহহীন লাখো মানুষ

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। দেশটির কর্মকর্তারা এ জানিয়েছেন। এটি চলতি বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি। 

ঘূর্ণিঝড়ে ফিলিপাইনের সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ সেবুর একাধিক শহর পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪৯ জন সেখানকার বাসিন্দা। বুধবার কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৭৫ জন নিখোঁজ এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন।

বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে গাড়ি ও কনটেইনার।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের ছয়জন ক্রুও আছেন। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ তৎপরতায় সহযোগিতার জন্য হেলিকপ্টারটিকে পাঠানো হয়েছিল। গত মঙ্গলবার আগুসান দেল সুর এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া চারটি হেলিকপ্টারের একটি ছিল এটি।

ফিলিপাইন বিমানবাহিনী বলেছে, ‘হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরপরই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।’ পরে বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, পাইলটসহ ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চার লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুনশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল, ৬৬ জনের মৃত্যু১৫ ঘণ্টা আগে

ফিলিপাইনে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগির এক মাস আগে টানা দুটি ঝড় ডজনখানেক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে দেশটিতে অতিবৃষ্টি ও নিম্নমানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কালমায়েগি এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে ইতিমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ