ট্রাম্পের পক্ষে কি বাগরাম ঘাঁটি ফের দখল করা সম্ভব?
Published: 21st, September 2025 GMT
ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত ‘অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মতো’ বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন।
তিনি প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রীতিমতো চুক্তি করে আফগানিস্তানের ‘অধিকার ছাড়িয়া’ দেওয়ার পর মার্কিন সেনারা ঘটিবাটি রেখে যে বাগরাম ঘাঁটি ফেলে চলে এসেছিলেন; আজ পাঁচ বছর পর তিনি সেই ঘাঁটির ‘অধিকার’ দাবি করে বসেছেন।
সেই ‘অধিকার’ বুঝে না পেলে তিনি ‘খুব খারাপ কিছু’ ঘটিয়ে ফেলবেন বলে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন সফর করার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ঘর ভরা সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘আমরা বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চাই।’
ঘাঁটিটির ওপর আদৌ আন্তর্জাতিক আইনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার আছে কিনা, ঘাঁটির মালিক দেশটি সেটিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে দেবে কিনা, যদি না দেয় তো আইন অনুযায়ী তা পাওয়ার সুযোগ আছে কিনা—এসবের ধার তিনি ধারেননি।
ট্রাম্প পরে তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ সরাসরি মাস্তানি ভাষায় বলেছেন, ‘বাগরাম ঘাঁটি না দিলে আফগানিস্তানের কপালে খারাবি আছে’।
আরও পড়ুনতালেবানের কাছে হারের দায় যেভাবে ট্রাম্প-বাইডেন দুজনেরই১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪এই ঘটনা গরিব উপেনের কাছ থেকে ‘দুই বিঘা জমি’ হাতিয়ে নেওয়া সেই ‘বাবু’র কথা মনে করিয়ে দেয়। উপেনের শেষ সম্বল দুই বিঘে জমি দেখিয়ে ‘বাবু বলিলেন, “বুঝেছ উপেন, ও জমি লইব কিনে”’।
জমির ওপর নিজের অধিকারের ন্যায্যতা দাঁড় করাতে বাবু যুক্তি দিয়ে উপেনকে বোঝালেন, ‘বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা, পেলে দুই বিঘে প্রস্থ ও দিঘে সমান হইবে টানা—ওটা দিতে হবে।’
আন্তর্জাতিক ‘বাবু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কায়দায় বলেছেন, চীন যেখানে পরমাণু অস্ত্র বানায়, সেখান থেকে বাগরাম মাত্র ঘণ্টাখানিকের পথ। তা ছাড়া রাশিয়াও কাছাকাছি। সব দিক থেকে সুবিধা। এই কারণে ঘাঁটিটা দরকার; ‘ওটা দিতে হবে।’
বছর দশেক আগে হলে, আফগানিস্তান হয়তো খুব একটা গাঁইগুঁই করতে পারত না। কিন্তু এখন আমেরিকার পক্ষে যে আগের মতো কথায় কথায় হামলা চালানো সহজ না, তা চীন জানে, রাশিয়া জানে, ভারত জানে, এমনকি আফগানিস্তানও জানে।
সম্ভবত সে কারণে আফগানিস্তান কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। আফগানিস্তানের সরকার প্রধান বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলেননি।
এখন যে বাগরাম বিমান ঘাঁটি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটির বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এই ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের বানানো। এখানে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে তারা।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন য ক তর বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য ও কানাডা প্রথম এই স্বীকৃতি দিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি প্রথম এই ঘোষণা দেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেন। ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।