মুফতি আমির হামজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জাবি প্রশাসনের
Published: 21st, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সম্পর্কে আমির হামজার বক্তব্য ‘আবাসিক হলগুলোতে সকালে মদ দিয়ে কুলি করা হত’ বর্ণনাটি অসত্য বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া এরূপ মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
ভ্রাতৃত্ব ও অসাম্প্রদায়িকতায় জবিতে মহালয়া উৎসব
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং আমির হামজা জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়।
পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। প্রমাণসহ এমন নজির প্রশাসনের কাছে নেই। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষাথীর্দের আন্তঃসম্পর্কের বন্ধন সব সময়ই প্রশংসনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। জাবি প্রশাসন আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জনাব আমির হামজার একটি বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন।
তিনি জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়।
ঢাকা/আহসান
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপসহ অক্সফোর্ডে পিএইচডির সুযোগ জাবি ছাত্রীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম আনিকা বিশ্বের অন্যতম সেরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন।
মর্যাদাপূর্ণ ক্ল্যারেনডন ফান্ড স্কলারশিপের আওতায় আগামী ৫ বছর তাকে টিউশন ফি ও জীবনযাপনের খরচ বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ পাউন্ড অর্থ প্রদান করা হবে।
আরো পড়ুন:
উপ-উপাচার্যের গাড়ি লক্ষ্য করে ‘ভিক্ষা’ দিলেন শিক্ষার্থীরা
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
সামিয়া ইসলাম আনিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। সামিয়া অনার্সে ৩.৯২ সিজিপিএ নিয়ে বিভাগ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করেন। মাস্টার্সে তার সিজিপিএ ছিল ৩.৯১। পাশাপাশি জিআরই পরীক্ষায় তিনি ৩৩১ (কোয়ান্ট ১৭০/১৭০) এবং আইইএলটিএস-এ ৮.৫ স্কোর করেন।
শুধু ক্লাসরুমেই নয়, গবেষণাতেও সমান মনোযোগী ছিলেন সামিয়া। ইউজিসির একটি প্রকল্পে কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারের আচরণ নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া আইসিটি বিভাগের ‘হার পাওয়ার প্রোজেক্ট’ এবং সমবায় অধিদপ্তরের নারীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পেও ছিলেন গবেষণা সহকারী। সানেমে (SANEM) কাজ করেছেন তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, এসএমই খাত, উৎপাদনশিল্প ও জেন্ডার বাজেটিং নিয়ে।
কেবল পড়াশোনা বা গবেষণা নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সক্রিয় ছিলেন সামিয়া। অর্থনীতি শিক্ষার্থী সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের (জুডো) সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
অক্সফোর্ডে সুযোগ পাওয়া প্রসঙ্গে সামিয়া নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এই সুযোগ আমার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। ভেবেছিলাম আগে বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করে পরে হয়তো টপ-টেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার চেষ্টা করব। কিন্তু অক্সফোর্ডের অফার প্রত্যাশার আগেই এল। এজন্য আমি আমার বিভাগ, শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
তিনি বলেন, “ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য দ্রুত মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশ দরকার ছিল। এ সময়ে শিক্ষকদের অতিরিক্ত পরিশ্রম ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় সময়মতো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। শিক্ষকরা শুধু পড়াশোনা নয়, ব্যর্থতাকে সামলাতে শিখিয়েছেন। তারা সবসময় পাশে থেকেছেন। তাদের ঋণ শোধ করার মতো নয়।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী