বন্দরে স্ত্রী পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাষান্ড শ্যালকদের সন্ত্রাসী হামলায়  দুলাভাই ইসমাঈল হোসেন (৫৫) রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহত ইসমাঈল হোসেন বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে।  

স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আহত জামাতা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন সন্ধ্যায় হামলাকারি শ্যালক ফারুক, আরিফসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর থানার মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বিবাদী ফারুক ও আরিফ বাদী শ্যালক এবং উর্মি ফারুকের স্ত্রী ও নাহিদা বেগম আরিফের স্ত্রী। উল্লেখিত দীর্ঘদিন যাবত বাদী  স্ত্রী শারমিন (৪৫) এর বাবা মৃত আমির উদ্দিন মিয়া পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিকভাবে ১নং হতে ৪নং বিবাদীদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন যাবত ঝগড়া চলছে।

উল্লেখিত ১নং হতে ৪নং বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত আমার স্ত্রী এবং তার বোনদের জায়গা জোরপূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এর জের ধরে রোববার  সকাল সাড়ে ১০টায়  বন্দর থানার মদনগঞ্জ লক্ষার চর সাকিনস্থ বাদীর স্ত্রী শারমিন (৪৫) এর বাবা মৃত আমির উদ্দিন মিয়া পৈতৃক সম্পত্তি  তার দুই বোন রানী (৪২) ও ইরানী (২৮) তাদের ভাইদের কাছে জায়গার ভাগ চাইতে গেলে ১নং হতে ৪নং বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী ও তার  স্ত্রী এবয় ছেলেকে এবং আমাদের বাসায় বেড়াতে আসা আমার বায়রাকে এলোপাথড়ি মারপিট ও কিলঘুষি মেরে রক্ত জমাট নীলাফুলা জখম করে এবং ১নং বিবাদী তার ঘর থেকে ধারালো রামধা নিয়ে এসে আমার প্রাণ নাশ করার উদ্দেশ্য করে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত করে তখন আমি মাটিতে পরে গেলে তখন বিবাদীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তখন আশেপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে বাদীকে উদ্ধার করে  বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন। একই দিন বেলা ৩.

০০ ঘটিকার সময় ১নং হতে ৪নং বিবাদীসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন আমরা থানায় অভিযোগ দিতে আসলে ওই সময় উল্লেখিতরা বাদি ছেলেকে মারধর করে   ঘর বাড়ি ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে পালিয়ে যায়।  

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উল ল খ শ য লক

এছাড়াও পড়ুন:

‘খবরদার, আমি শাহজাহান চৌধুরী, আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে’

চট্টগ্রামের আলোচিত জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর আরও একটি বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের মনোনীত এই প্রার্থীর বক্তব্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘খবরদার, খবরদার; আমি শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে...। আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহর মেহেরবানি, সূর্য আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে। আল্লাহ তাআলা আমাকে এ রকম মর্যাদা দিয়েছেন। আপনারা দোয়া করবেন।’

স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় জনসংযোগের সময় শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। তবে বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা শুরু হয়। শাহজাহান চৌধুরী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হুমকির সুরেও কথা বলেন। তবে কার উদ্দেশে এসব বলেছেন, তা স্পষ্ট হয়নি। তিনি বলেন, ‘চুদুরবুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (পঙ্গু) হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে’: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ২৫ নভেম্বর ২০২৫

ভিডিওতে শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই এলাকা আমার শায়খ, আমার ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। এই এলাকা মাওলানা চৌধুরীর এলাকা। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই এলাকার মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। এখানো আর কোনো মার্কা নেই, সাতকানিয়া–লোহাগাড়ার মার্কা একটা, সেটা হলো দাঁড়িপাল্লা মার্কা।’

বক্তব্যের এক পর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা (পঙ্গু) হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকাপয়সা, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবার দেখিনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি। আমরা স্বার্থপর নই। আমি দুইবারের এমপি। কোনো দিন এক কড়া জমিও নিইনি।’

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’–এ প্রশাসনকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন শাহজাহান চৌধুরী। এতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়...যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে।’

এ বক্তব্যের পর গত মঙ্গলবার শাহজাহান চৌধুরীকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাঁকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত নোটিশে এ কথা বলা হয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজাহান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মো. আরমান উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে শাহজাহান চৌধুরী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। চিঠির বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ