ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার আগে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, এনটিএমসি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

ইসি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে ভোটের আগে ও পরে কতদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কতজন সদস্য মোতায়েন হবে—এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি সমন্বিত ডেপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি অনুমোদন করা হবে।

এর আগে বুধবার বিজিবির ‘নির্বাচনি মহড়া’ পরিদর্শন শেষে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হবে। ঝুঁকির মাত্রা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। আজকের বৈঠকেই সে স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মো.

মাহাবুবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, ডিবিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র‍্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবির প্রধান মো. গোলাম রসুল এবং সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ।

এছাড়া, সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নৌবাহিনী প্রধান

নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, “বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে নৌবাহিনী।” 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপড়ায় অবস্থিত বানৌজা শের-ই-বাংলা প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪১৭ জন নবীন নাবিকের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষে, ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ইন এইট টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নৌবাহিনী তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এসব এলাকায় নিয়োজিত নৌসদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং এলাকা সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সব ভূমিকা পালন করে দেশবাসীর কাছে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছেন।” 

তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব সরকার চট্টগ্রাম জয়দেব লিমিটেডের ওপর ন্যাস্ত করেছে। এতে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে গতিশীলতা এসেছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।”

নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, “সব নৌসদস্যকে আরো যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে দেশ সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের সংকটময় মুহূর্তে সর্বসাধারণের জানমাল রক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা প্রদান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তি নির্ভর ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর জন্য নিবেদিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।” 

পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নৌবাহিনী প্রধান নাবিকদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। নবীন নাবিকরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

এসময় নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসও, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌবাহিনী প্রধান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এসময় নবীন নাবিকরা জাতীয় পতাকা স্পর্শ করে দেশের প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার শপথ নেন। পরে পেশাগত ও সব বিষয়ে সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জন করায় সেরা চৌকশ নাবিক হিসেবে রিজন মোল্লাকে ‘নৌপ্রধান পদক’,  দ্বিতীয় স্থান অধিকারী মো. মারুফ হাসান মুন্নাকে ‘কমখুল পদক’ এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী মো. হাসান আলীকে ‘শের-ই-বাংলা পদক’ দেওয়া হয়।

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের বৈঠক
  • অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র বেশি ঢাকায়
  • নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে: সিইসি
  • ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো ভালো হবে: সিইসি
  • নির্বাচন ঠেকাতে চাইবে যারা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সিইসি
  • সরকারের প্রতিশ্রুতি ও কাজে মিল দেখতে চাই
  • নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নৌবাহিনী প্রধান