জেনেভা ক্যাম্পে গভীর রাতে সেনা অভিযান, বিস্ফোরক-মাদক উদ্ধার
Published: 27th, November 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়েছেন সেনাসদস্যরা। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়।
সেনাবাহিনীর বসিলা ক্যাম্প সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, জেনেভা ক্যাম্পের বাসায় ককটেল তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শীর্ষ মাদক কারবারি-অস্ত্রধারী বুনিয়া সোহেল। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনাবাহিনীর চারটি দল অভিযান শুরু করে। সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহেল পালিয়ে যান। দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চলে। অভিযানে ৭৭টি প্রক্রিয়াধীন ককটেল, চার ধরনের স্প্লিন্টার, ৪০০ গ্রাম গানপাউডার, সামুরাই ধরনের ৪টি তলোয়ার, ৪৯০টি ইয়াবাবড়ি, ২ হাজার ৮০ প্যাকেট হেরোইন ও মাদক বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার হয়।
উদ্ধার করা মাদক, বিস্ফোরক ও নগদ অর্থ মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়। সোহেলকে গ্রেপ্তারে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানানো হয়।
এ ব্যাপারে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো দিয়ে হয়তো ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা ছিল। আসামিদের ধরতে তাঁরা অভিযান অব্যাহত রাখবেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিস ইউনিভার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাদক পাচারের অভিযোগ
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং মাদক ও অস্ত্র পাচার নিয়ে বির্তকের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে প্রতারণার অভিযোগে মালিকদের একজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মেক্সিকোয় মাদক ও অস্ত্র পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
মিস ইউনিভার্স প্রতিষ্ঠানটির একসময় মালিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২২ সাল থেকে থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ এবং তাঁর কোম্পানি জে কে এন গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা কিনে নিয়েছে।
থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাথাইল্যান্ডে জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জে কে এন গ্লোবালের একজন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার নিয়ে আইনি বিরোধে জড়িয়েছেন। চলতি সপ্তাহে তিনি ব্যাংককের আদালতে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন। থাই গণমাধ্যম অনুসারে, ব্যাংকক সাউথ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গতকাল বুধবার জানিয়েছে, তাঁরা জেকরাটাটিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়েছে, জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবাল ২০২৩ সাল থেকে বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ওই সময় থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিল। এপির প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটি ২০২৪ সালে থাইল্যান্ডের দেউলিয়া আদালতে ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলার ঋণ রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) জেকরাটাটিপ ও জে কে এন গ্লোবালের বিরুদ্ধে আর্থিক বিবৃতিতে ‘মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য’ প্রকাশ করার অভিযোগ আনে। এ জন্য তাদের প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ডলার জরিমানা করে।
প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক থাই ধনকুবের অ্যান জেকাফং জেকরাটাটিপ