বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রাথমিক বাছাই উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পদের নাম: অ্যাডমিন অ্যাসিস্ট্যান্ট
লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও সময়: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা
কেন্দ্র: কুর্মিটোলা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

আরও পড়ুনহার্ভার্ড–অক্সফোর্ডসহ বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্রি অনলাইন কোর্স, যেভাবে আবেদন৪ ঘণ্টা আগেপরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা

১.

প্রার্থীদের অবশ্যই ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে।
২.

পরীক্ষার দিন আগে ইস্যুকৃত প্রবেশপত্র সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক।
৩.

মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষাকেন্দ্রে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, স্বাস্থ্য ৬৫০, প্রশাসনে ২০০, ক্যাডার ও নন–ক্যাডারে শূন্য পদ ২১৫০১৯ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি আরবে পুলিশের গুলিতে প্রবাসী নিহত, পরিবারে শোক

সচ্ছল জীবনের স্বপ্নে সৌদি আরব গিয়েছিলেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার গড়বাড়ী গ্রামের হাসিম উদ্দিন (৪৪)। পরিবারকে দারিদ্র্যের কষ্ট থেকে মুক্ত করতে গত ২২ জুন জেদ্দায় আল তেজারত কোম্পানির সিটি ক্লিনারের কাজে যোগ দেন তিনি। পরিবারে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কর্মজীবনও ভালোই চলছিল তার। তবে, গত ২৪ নভেম্বর সকালে হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়।

নিহতের পরিবারের ভাষ্য, সেদিন কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় এক চোরকে লক্ষ্য করে সৌদি আরবের পুলিশ গুলি ছোড়ে। ভুলবশত একটি গুলি লাগে দাঁড়িয়ে থাকা হাসিমের শরীরে। আহত হাসিমকে সহকর্মীরা হাসপাতালে নিলেও বাঁচাতে পারেননি। তার মৃত্যু সংবাদ দেশে পৌঁছানোর পর শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প

সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প

হাসিমের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, “রাতে স্বাভাবিকভাবেই ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কে জানত সকালে এমন খবর শুনতে হবে। সহকর্মী আলতাফ ফোন করে বলল—‘আপারে, ভাই ভুল গুলিতে আহত হয়েছে।’ পরে জানলাম, আর তিনি নেই।”

হাসিমের মেয়ে স্মৃতি আক্তার বলেন, “বাবার লাশ দেশে আনার জন্য নানা জায়গায় যোগাযোগ করছি। শুধু চাই, বাবাকে যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।”

পাড়ার বাসিন্দা শাহীন মিয়া বলেন, “হাসিম ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে পুরো গ্রাম স্তব্ধ। তিনি কারো সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার করেননি। সবাইকে সম্মান করতেন। এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।”

প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “বাচ্চাগুলো বাবা হারা হলো। হাসিম মানুষটা ছিল অত্যন্ত শান্ত-ভদ্র। বাড়িতে আসলে সবার খোঁজ নিত। এখন শুধু তার লাশ আসার অপেক্ষা।”

গ্রামের যুবক জাহিদ হাসান বলেন, “যে মানুষ নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে বিদেশে গিয়ে পরিশ্রম করছিলেন, তিনি এভাবে পুলিশের গুলিতে মারা গেলেন। এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা তদন্ত চাই।”

শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” 

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ