যে চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণ জমানো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল
Published: 27th, November 2025 GMT
স্বর্ণ জমানোর ইতিহাস হলো মানব সভ্যতার সম্পদ জমানোর প্রথম দিকের উদাহরণ। এটি ক্ষমতা, পবিত্রতা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে জড়িত। ঊনবিংশ এবং বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের অনেক দেশ তাদের মুদ্রার মান সরাসরি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের মূল্যের সাথে বেঁধে দেয়। এর ফলে স্বর্ণকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে একটি দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির প্রতীক হিসেবে জমানো হতো।
১৯৪৪ সালের ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’-এর মাধ্যমে মার্কিন ডলারকে স্বর্ণের বিপরীতে নির্দিষ্ট মূল্যে স্থির করা হয়। এবং অন্যান্য দেশের মুদ্রা ডলারের সাথেও মূল্য স্থির করা হয়। এর ফলে ডলার বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হয়ে ওঠে এবং বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণে ডলারের পাশাপাশি স্বর্ণও জমা রাখতে শুরু করে।
আরো পড়ুন:
‘ক্যাশুনাট সালাদ’ এভাবে বানিয়েছেন কখনও
করিন্থ: অর্থনৈতিক উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিলো যে নগর রাষ্ট্র
১৯৭১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রেটন উডস চুক্তি’ অনুযায়ী নির্ধারিত স্বর্ণমাণ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে। এরপর থেকে স্বর্ণের দাম বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে ওঠানামা করে। বর্তমানে ব্যক্তি, বিনিয়োগকারী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলার জন্য স্বর্ণ জমায়। যেমন—যুদ্ধ, মহামারী বা অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ জমিয়ে রাখে। এই ব্যবস্থা মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে সুরক্ষাও দেয়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলে স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫৬ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। খবর আনাদোলুর।
ভূকম্পনটি দেশটির নানগ্রো আচেহ দারুসালাম প্রদেশ থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে হয়। এটি মাটির ২৫.৪ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হেনেছে।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্পে সচিবালয়ের নতুন ভবনে ফাটল
ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া কোনো সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হেনে থাকে।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্পের আঘাতে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতি সুনামির ঘটনা ঘটে। সেসময় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ভূমিকম্প যে সুনামির অবতারণা ঘটায়, তাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত দুই লাখ ত্রিশ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এর মধ্যে এক লাখ সত্তর হাজারের বেশি মানুষ মারা যায় ইন্দোনেশিয়ায়।
ঢাকা/ফিরোজ