নাটোরের বড়াইগ্রামে নাটোর-পাবনা মহাসড়কে বাসচাপায় একটি অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার গুনাইহাটি গ্রামে এ দুর্ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বড়াইগ্রাম উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আনসার আলী (৬০), অটোরিকশাচালক মুনছের প্রামাণিক (৬৮) ও যাত্রী মো.

নয়ন (২৮)। আনসার উপজেলার কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মুনছের প্রামাণিক ও নয়নের বাড়ি লালপুর উপজেলার ধলা গ্রামে। আহত ব্যক্তিরা হলেন বড়াইগ্রামের রাসেল হোসেন (২৬), মাসুদ রানা (৪০) ও রাশেদা বেগম (৫০)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং বাসচালককে আটক করার চেষ্টা চলছে।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে বনপাড়া বাজার থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা মানিকপুর ছাতনীগাছা গ্রামে যাচ্ছিল। গুনাইহাটি এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয় এবং তিনজন আহত হন।

খবর পেয়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কে অবস্থান নিলে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম বলেন, বাসের চালক পালিয়েছেন, তবে বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল ত নজন বনপ ড়

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার বাইরে ভোট করে জেতা কি কঠিন হয়ে গেল

জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের পর এখন বিধান এমনই দাঁড়িয়েছে। তাতে আগামী জাতীয় সংসদে দুই–তিনটি দল কর্তৃত্ব করবে কি না, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকার অনুপস্থিতিতে প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্য বিস্তারের ইঙ্গিতও স্পষ্ট হচ্ছে।

এত দিন জোট গড়লে বড় শরিক দলের প্রতীকে অন্যদের ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশোধিত আইন অনুসারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল। বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ৩৭টি আসন ফাঁকা রেখেছে। বলা হচ্ছে—এগুলোতে জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া হবে। জামায়াত সারা দেশেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে তারাও ইসলামী সাতটি দলকে নিয়ে একধরনের জোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোটে ভিড়ে কি না, সেই আলোচনা আছে।

২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েই অংশ নেয়। এসব নির্বাচনে সবাই না হলেও জোটের শরিক দলগুলোর অনেক প্রার্থীই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত নিজ দলের প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া কঠিন ভেবেই জোটের বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীকে ভোট করা হতো।

বিএনপির ধানের শীষ এবং জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা পুরোনো প্রতীক। অন্যদিকে অনেক আলোচনা-জটিলতার পর শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছে এনসিপি। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় নৌকা থাকবে না ভোটে।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধন করেছে। জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিওতে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তবে ভোট করতে হবে প্রার্থীর নিজ দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকেই।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। দলীয় প্রতীকে ভোটের বাধ্যবাধকতাকে জামায়াত ও এনসিপি স্বাগত জানালেও বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ৩ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি হয়।

তরুণ ও যুবকদের নিয়ে গত মে মাসে ঢাকায় তারুণ্যের উৎসব করেছিল বিএনপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ