২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি বহন করত লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর ত্রিমোহনী, সদর হাসপাতাল চত্বর, সামাদ মোড়, এসআর রোড, রামগতি রোড, কলেজ রোড ও গার্লস রোডের দেয়ালগুলো। একসময় এসব দেয়াল ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের রঙে রাঙানো। দেয়ালে দেয়ালে লেখা ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান, স্বাধীনতার নতুন ভাষা। এখন সেই দেয়ালগুলোর ওপর সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। বিপ্লবের দেয়ালগুলো রূপ নিয়েছে বিজ্ঞাপনের বোর্ডে।

সদর হাসপাতালের তোরণ দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায়, দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতির ওপর প্রাইভেট ক্লিনিক, ফার্মেসি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের পোস্টার লাগানো। রামগতি রোডের দেয়ালগুলো ঠাঁসা রাজনৈতিক দলের পোস্টার, সিলমোহর আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফেস্টুনে।

উত্তর ত্রিমোহনীর শহীদ আফনান চত্বরের পাশে ও পেট্রোল পাম্প-সংলগ্ন দেয়ালে একসময় আঁকা হয়েছিল নান্দনিক গ্রাফিতি। এখন সেখানে ঝুলছে ব্র্যান্ডের শোরুমের ‘ছাড় চলছে’ পোস্টার। তার পাশেই ইন্টারনেট সংযোগের অফার, ‘রুমমেট আবশ্যক’ নোটিশ, কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোস্টার। 

কলেজ রোডেও একই চিত্র— দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি ও লেখাগুলো এখন ঢাকা পড়েছে ফটোকপি সেন্টার, টিউশন ব্যাচ ও রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনে।

গার্লস রোডের দেয়ালগুলোর অবস্থা আরো করুণ— শ্যাওলা জমেছে, হারিয়ে গেছে রঙিন চিত্রগুলো। অথচ কয়েক মাস আগেও সেখানে ছিল রক্তিম অক্ষরে লেখা বিপ্লবের স্লোগান ও স্বাধীনতার আহ্বান।

উত্তর ত্রিমোহনীর ব্যবসায়ী ইলিয়াস রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, ভালোই লাগছিল গ্রাফিতিগুলো, শহরটা তখন অন্যরকম লাগত। কিন্তু, এখন পোস্টার আর ব্যানারে সব ঢেকে গেছে, সৌন্দর্যও হারিয়েছে।

ক্যালিগ্রাফি শিল্পী জিয়া উদ্দিন সায়েম বলেছেন, এত কষ্ট করে দেয়ালগুলোতে এঁকেছিলাম। অথচ, রাজনৈতিক পোস্টার আর বিজ্ঞাপনে সব ঢাকা পড়ছে। এটা সত্যিই কষ্টের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরমান হোসাইন বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক ছিল এই গ্রাফিতিগুলো। এগুলো শুধু আঁকা ছবি নয়, ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু, এখন পোস্টার আর ফেস্টুনে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।

সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) জেলা সভাপতি অধ্যাপক জেড এম ফারুকী বলেছেন, এই গ্রাফিতিগুলো আন্দোলনের দলিল, নাগরিক চেতনার প্রতিফলন। শহরের ইতিহাস সংরক্ষণে প্রশাসনের উদ্যোগ প্রয়োজন।

ঢাকা/লিটন/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৩ কোটি ঋণ ছিল, এখন ১১ কোটির মালিক

একসময় দিনের খাবার জোগাড় করাই ছিল সবচেয়ে বড় লড়াই। মাথার ওপর ছাদ ছিল না, পকেটে টাকা ছিল না। অথচ আজ তিনি টেলিভিশনের অন্যতম বড় তারকা—রাশমি দেশাই।
এ সময়ে টেলিভিশন দুনিয়ায় রাশমি দেশাই এক পরিচিত নাম। বিলাসবহুল জীবন, খ্যাতি ও সাফল্যে ঘেরা তাঁর বর্তমান জীবন। তবে এই জায়গায় পৌঁছাতে তাঁকে পেরোতে হয়েছে কঠিন লড়াইয়ের পথ।

কে এই রাশমি দেশাই
রাশমি দেশাই শুধু হিন্দি টেলিভিশনেই নয়, ভোজপুরি সিনেমাতেও একসময় দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০৪ সালে ‘বালমা বড়া নাদান’ ছবির মাধ্যমে ভোজপুরি সিনেমায় অভিষেক হয় তাঁর। এরপর একের পর এক ছবিতে অভিনয় করেন ‘গজব ভাইল রেহনা’, ‘তোহসে পেয়ার বা’, ‘কাঙ্গনা খাঁকে প্যায়ারা কে অঙ্গনা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবিতে।

রাশমি দেশাই। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩ কোটি ঋণ ছিল, এখন ১১ কোটির মালিক