ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জে চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১২ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) দীপংকর ঘোষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানিয়েছেন। 

এরআগে, সোমবার বিকালে ৫টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ও কড্ডার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের রহম আলী শেখের ছেলে বাবু শেখ (৩৪) ও নতুন সয়দাবাদ গ্রামের সহিদের ছেলে সাহা (২৯)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়- শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড় এলাকায় চলন্ত প্রাইভেটকার থামিয়ে ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তিদের মারধর করে এবং প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে তাদের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। 

ডাকাতির পরে এক মিনিটের একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে যমুনা সেতু পশ্চিম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১। 

পরে র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা সোমবার বিকাল ৫টায় সয়দাবাদ ও কড্ডার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দিগ্ধভাবে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার আসামি মো.

বাবু শেখের বিরুদ্ধে ডাকাতির অপরাধে ১৫টি মামলা এবং সাহার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/অদিত্য/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সয়দ ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার বাইরে ভোট করে জেতা কি কঠিন হয়ে গেল

জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের পর এখন বিধান এমনই দাঁড়িয়েছে। তাতে আগামী জাতীয় সংসদে দুই–তিনটি দল কর্তৃত্ব করবে কি না, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকার অনুপস্থিতিতে প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্য বিস্তারের ইঙ্গিতও স্পষ্ট হচ্ছে।

এত দিন জোট গড়লে বড় শরিক দলের প্রতীকে অন্যদের ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশোধিত আইন অনুসারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল। বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ৩৭টি আসন ফাঁকা রেখেছে। বলা হচ্ছে—এগুলোতে জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া হবে। জামায়াত সারা দেশেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে তারাও ইসলামী সাতটি দলকে নিয়ে একধরনের জোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোটে ভিড়ে কি না, সেই আলোচনা আছে।

২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েই অংশ নেয়। এসব নির্বাচনে সবাই না হলেও জোটের শরিক দলগুলোর অনেক প্রার্থীই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত নিজ দলের প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া কঠিন ভেবেই জোটের বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীকে ভোট করা হতো।

বিএনপির ধানের শীষ এবং জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা পুরোনো প্রতীক। অন্যদিকে অনেক আলোচনা-জটিলতার পর শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছে এনসিপি। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় নৌকা থাকবে না ভোটে।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধন করেছে। জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিওতে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তবে ভোট করতে হবে প্রার্থীর নিজ দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকেই।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। দলীয় প্রতীকে ভোটের বাধ্যবাধকতাকে জামায়াত ও এনসিপি স্বাগত জানালেও বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ৩ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি হয়।

তরুণ ও যুবকদের নিয়ে গত মে মাসে ঢাকায় তারুণ্যের উৎসব করেছিল বিএনপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ