ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় এ দুর্ঘটনায় জড়িত ‘সি লাইন’ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো ব:১৪-৭৭৭৪ নম্বর বাসটিকে আটক করে মালিক পক্ষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

আরো পড়ুন:

ঝালকাঠিতে বাসচাপায় প্রাণ গেল স্কুলশিক্ষকের

বাসচাপায় পথচারী নিহত, প্রতিবাদে চালক-হেলপারকে গণপিটুনি

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত সোহেল রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

আটক বাসের চালক বকুল খন্দকার (৬০) বলেন, “আমি রেডিও কলোনির জ্যামে দাঁড়িয়ে ছিলাম, ডানে অল্প ফাকা জায়গা ছিল, সেখানেই ওই শিক্ষার্থীর বাইকটা দাঁড়িয়ে ছিল। আমি সেটা খেয়াল করিনি। জ্যাম ছাড়ালে না দেখেই টান দেই, এতে মোটরসাইকেলে বসা শিক্ষার্থী ঝুঁকি বুঝে ডিভাইডার টপকে লাফ দেয়, সেখান থেকেই তার পায়ে আঘাত লাগে। মোটরসাইকেলটি গাড়িতে লেগে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সবকিছু বাবদ আপোষের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিপূরণ দিয়েছি।”

সাভার হাইওয়ে থানার কর্তব্যরত এসআই আনজিল আহমেদ বলেন, “আমরা দূর্ঘটনার পর সেখানে পৌঁছে গাড়ি জব্দ করেছি। উভয় পক্ষের মীমাংসার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। জরিমানা ভিক্টিমকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চালককে সড়ক ও পরিবহন আইনের ৮৭ নং ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরো কিছু আইনগত প্রক্রিয়া শেষে গাড়ি হস্তান্তর করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো.

রাসেল মিয়া বলেন, “আমরা দূর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টর স্যারসহ ঘটনাস্থলে পৌছায়। আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে গাড়ি জব্দ করি এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ উভয়ের সম্মতিতে মালিক পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে আহত শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ৫০ হ জ র ট ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার বাইরে ভোট করে জেতা কি কঠিন হয়ে গেল

জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের পর এখন বিধান এমনই দাঁড়িয়েছে। তাতে আগামী জাতীয় সংসদে দুই–তিনটি দল কর্তৃত্ব করবে কি না, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকার অনুপস্থিতিতে প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্য বিস্তারের ইঙ্গিতও স্পষ্ট হচ্ছে।

এত দিন জোট গড়লে বড় শরিক দলের প্রতীকে অন্যদের ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশোধিত আইন অনুসারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল। বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ৩৭টি আসন ফাঁকা রেখেছে। বলা হচ্ছে—এগুলোতে জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া হবে। জামায়াত সারা দেশেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে তারাও ইসলামী সাতটি দলকে নিয়ে একধরনের জোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোটে ভিড়ে কি না, সেই আলোচনা আছে।

২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েই অংশ নেয়। এসব নির্বাচনে সবাই না হলেও জোটের শরিক দলগুলোর অনেক প্রার্থীই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত নিজ দলের প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া কঠিন ভেবেই জোটের বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীকে ভোট করা হতো।

বিএনপির ধানের শীষ এবং জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা পুরোনো প্রতীক। অন্যদিকে অনেক আলোচনা-জটিলতার পর শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছে এনসিপি। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় নৌকা থাকবে না ভোটে।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধন করেছে। জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিওতে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তবে ভোট করতে হবে প্রার্থীর নিজ দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকেই।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। দলীয় প্রতীকে ভোটের বাধ্যবাধকতাকে জামায়াত ও এনসিপি স্বাগত জানালেও বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ৩ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি হয়।

তরুণ ও যুবকদের নিয়ে গত মে মাসে ঢাকায় তারুণ্যের উৎসব করেছিল বিএনপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ