রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নাম এখন ‘কেকপট্টি’ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে বানানো মেট্রোর ‘কেকপট্টি’ স্টেশনের ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে এই হালকা চালের মজার পেছনে কারণ আছে। সম্প্রতি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনের সড়কটিতে রোজ বিকেলে উপস্থিত হচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। রীতিমতো মেলা বসে যাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে কেক বিক্রেতাদের উপস্থিতি।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ঘরে বানানো কেক নিয়ে সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন বিক্রেতারা। তার মধ্যে নারী বিক্রেতার সংখ্যাই বেশি। সুলভে কেক খাওয়ার সুযোগ আর একই সঙ্গে বেড়ানোর ইচ্ছা মিলে রোজকার উৎসবে পরিণত হচ্ছে আগারগাঁওয়ের এ জায়গা।

এখানে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরেই পথের পাশে খাবার বিক্রি হলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন জমজমাট হয়েছে ‘ভাইরাল কেকের’ সুবাদে। আর সেই কেক ভাইরাল হয়েছে ফেসবুক, ইউটিউবের সুবাদে। অন্তত এখানকার কেক বিক্রেতারা তাই মনে করেন। ক্রেতারাও বললেন, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেই কেক খেতে এসেছেন।

টেবিল ছাড়াও এখানে কেউ কেউ নিজেদের গাড়িতে রেখে বিক্রি করছেন কেক। মখমলের মতো নরম আর দুধ সাদা কেকের ওপর রুপালি বল, আমের ঘ্রাণ মেশানো কেকের টপারে নীল ফুল বা চিরাচরিত চকলেট ক্রিমের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে খোপ কাটা ঘরের নকশা করা রসমালাই কেক।

সড়কে বসা দোকানগুলোয় হরেক পদের কেক মিলছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে, গত সোমবার সন্ধ্যায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইউনেসকো ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পূজার আয়োজনকে আরও আকর্ষণীয় করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৬ সাল থেকে দুর্গাপূজা শেষে কলকাতা ও শহরতলির সেরা প্যান্ডেল ও প্রতিমাগুলোকে নিয়ে বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যালের আয়োজন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও কলকাতার রেড রোডে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল। রোববার বিকেল সাড়ে চারটায় এ কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্নিভ্যালে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নিয়েছে শ্রীভূমি স্টেটিং ক্লাব, সন্তোষ মিত্র স্কয়ার, কলেজ স্কয়ার, কুমারটুলী পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, সুরুচি সংঘ, যোধপুর পার্ক, হাতিবাগান সর্বজনীন, সিংহী পার্ক, শিয়ারদহ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন, বাগবাজার সর্বজনীন, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সিকদার বাগান দুর্গোৎসব, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বোসপুকুর শতিলা মন্দির, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন, শিবমন্দির পূজা কমিটি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘ, মানিকতলা চালতাবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী ক্লাবসহ মোট ১১৬টি পূজা কমিটি।

কার্নিভ্যালে কলকাতার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। ইউনেসকো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, নেপাল, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভুটানের কূটনীতিকেরা এদিন উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই বছরের কার্নিভ্যালে অংশ নেন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। ৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলকাতায় জমজমাট ‘দুর্গাপূজা কার্নিভ্যাল’