বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় আছাদুর রহমান নামে এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ৯টার দিকে জেলার কচুয়া উপজেলার মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

শিক্ষক মারা যাওয়ার খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। তারা দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় দুই ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান। ফলে সকাল ১১টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১০

বাসের ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী আহত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিহত আছাদুর রহমান দৈবজ্ঞহাটি বিশেশ্বর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সাতবসু গ্রামে। কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন তিনি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকার দিকে যাওয়া দোলা পরিবহনের একটি বাস কচুয়া উপজেলার মোল্লাবাড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী আছাদুর রহমান। বাসটিও সড়কের খাদে পড়ে যায়। এসময় বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।

এলাকাবাসী আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক আছাদুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

দৈবজ্ঞহাটি বিশেশ্বর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিজুস কুমার সাহা বলেন, ‍“প্রতিদিনের মতো আজও মোটরসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে আসছিলেন আছাদুর রহমান। বাসের চাপায় গুরুত্বর আহত হলে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

শামীম আহমেদ খান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কাটাখালি হাইওয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। র‌্যাকার আসলে বাসটি খাঁদ থেকে সরিয়ে থানায় নেওয়া হবে। যান চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে। মরদেহটি হাসপাতালে রয়েছে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত ব গ রহ ট উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার বাইরে ভোট করে জেতা কি কঠিন হয়ে গেল

জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের পর এখন বিধান এমনই দাঁড়িয়েছে। তাতে আগামী জাতীয় সংসদে দুই–তিনটি দল কর্তৃত্ব করবে কি না, এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকার অনুপস্থিতিতে প্রতীক হিসেবে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার প্রাধান্য বিস্তারের ইঙ্গিতও স্পষ্ট হচ্ছে।

এত দিন জোট গড়লে বড় শরিক দলের প্রতীকে অন্যদের ভোট করার সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সংশোধিত আইন অনুসারে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অন্য কোনো দলের প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল। বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ৩৭টি আসন ফাঁকা রেখেছে। বলা হচ্ছে—এগুলোতে জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া হবে। জামায়াত সারা দেশেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে তারাও ইসলামী সাতটি দলকে নিয়ে একধরনের জোট করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো কোনো জোটে ভিড়ে কি না, সেই আলোচনা আছে।

২০০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েই অংশ নেয়। এসব নির্বাচনে সবাই না হলেও জোটের শরিক দলগুলোর অনেক প্রার্থীই নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। মূলত নিজ দলের প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া কঠিন ভেবেই জোটের বড় দলের জনপ্রিয় প্রতীকে ভোট করা হতো।

বিএনপির ধানের শীষ এবং জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা পুরোনো প্রতীক। অন্যদিকে অনেক আলোচনা-জটিলতার পর শাপলা কলি প্রতীক পেয়েছে এনসিপি। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল রয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় নৌকা থাকবে না ভোটে।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও সংশোধন করেছে। জোটবদ্ধ দলের প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে সংশোধিত আরপিওতে বলা হয়েছে, যদি দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে সম্মত হয়, তবে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। তবে ভোট করতে হবে প্রার্থীর নিজ দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীকেই।

গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত অনুমোদন পায়। দলীয় প্রতীকে ভোটের বাধ্যবাধকতাকে জামায়াত ও এনসিপি স্বাগত জানালেও বিএনপি আপত্তি তুলেছিল। সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ৩ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি হয়।

তরুণ ও যুবকদের নিয়ে গত মে মাসে ঢাকায় তারুণ্যের উৎসব করেছিল বিএনপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ