সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা
Published: 8th, October 2025 GMT
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গাজীপুরের পাঁচজনের পরিবারের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা করে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অর্থরিটি (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ড।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বাসচাপায় শিক্ষক নিহত, সড়কে বিক্ষোভ
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১০
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান ও মোটরযান পরিদর্শক নাসিরুল আরেফিন।
চেক পাওয়া পরিবারের নিহতরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক, বিজয় হোসেন, অহিদুল ইসলাম, সুমন হোসেন, মনিরা খাতুন।
নিহত অহিদুলের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, “এক বছর আগে আমার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। দুইটি সন্তানকে মানুষ করার মতো অবস্থা আমার নেই। আজ পাঁচ লাখ টাকা পেলাম, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে সন্তানদের মানুষ করব।”
বিআরটিএ গাজীপুর সার্কেলের সহকারী পরিচালক এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, “বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড আজ গাজীপুরে পাঁচজনকে ২৫ লাখ টাকার চেক দিয়েছে। যদিও এই অর্থ মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হয় না, তবুও এটি নিহতদের পরিবারে কিছুটা সহায়তা হবে। গাজীপুর থেকে কিছুদিনের মধ্যেই আরো পৌনে ২ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।”
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ নির্ধারিত ফরমে নিহত কিংবা গুরুতর আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে ট্রাস্টিবোর্ড আবেদনটি যাছাই-বাছাই পূর্বক অর্থ সহযোগিতা মঞ্জুর করে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ক দ র ঘটন য় র পর ব র পর ব র র ব আরট এ
এছাড়াও পড়ুন:
শিবিরের ভিপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদলের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। আজ বেলা পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবনে (নতুন কলা ভবন) গিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে প্রায় ২০ মিনিট ধরে ইতিহাস বিভাগের ৩২৩ নম্বর কক্ষে প্রচারণা চালানো হয়। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
অভিযোগ জানানোর সময় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান; চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শাফায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনী আচরণবিধিমালার ৪–এর ‘ঙ’ বিধিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ফ্যাকাল্টিতে যেখানে ক্লাস-পরীক্ষা হয় সেখানে কিংবা আশপাশে সভা-সমাবেশ করা যাবে না। ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন কোনো কাজ, যেমন কোনো ধরনের সাউন্ড সিস্টেম বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে সকল প্রার্থী বা তার সমর্থকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রশিবির প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক প্রধান মনির উদ্দিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আচরণবিধি দেখাশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কমিটি রয়েছে। তাঁদের কাছে লিখিত অভিযোগটি হস্তান্তর করা হবে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইব্রাহীম প্রচারণা চালাতে ইতিহাস বিভাগে যাননি। নিজ বিভাগ হওয়ায় জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ রয়েছে একটি প্যানেলের প্রার্থীরা শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানাব।’
ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটি নির্বাচন কমিশনে যে কেউ জানাতে পারে। আমার কাছে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যাখ্যা চাইলে আমি জবাব দেব।’