বাগেরহাটে দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত, প্রতিবাদে সড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 8th, October 2025 GMT
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার মোল্লাবাড়ি এলাকার সাইনবোর্ড–বগী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বেলা ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত শিক্ষকের নাম আছাদুর রহমান (৩৫)। তিনি দৈবজ্ঞহাটি বিশ্বেশ্বর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক। তাঁর বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাতবসু গ্রামে।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, আছাদুর রহমান এক বছর আগে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকতেন। আজ সকালে তিনি মোটরসাইকেলে বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে ঢাকাগামী দোলা পরিবহনের দূরপাল্লার একটি বাস। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন শিক্ষক আছাদুর রহমান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় ওই বাসে ভাঙচুর চালান তাঁরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে বেলা ১১টার দিকে সাইনবোর্ড–বগী আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দৈবজ্ঞহাটি বিশ্বেশ্বর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পীযূষ কুমার সাহা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও মোটরসাইকেলে বিদ্যালয়ে আসছিলেন আছাদুর রহমান। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা
ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন
ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’
এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’
ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’
ঢাকা/সাব্বির/বকুল